শিশুদের যত্ন নিয়ে আলোচনা

এমন বহু প্রশ্ন ঘুরপাক খায় সদ্যোজাতের বাবা-মায়ের মনে। কথা ফোটার আগে বাবা-মা, বাড়ির লোকদের বুঝতে হয় শিশুর না বলতে পারা সমস্যাগুলি। সেখানেই তৈরি হয় জটিলতা। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের যত্ন নিয়ে বহু ভ্রান্ত ধারণা আছে। সেগুলির জেরে অনেক সময়েই সমস্যা আরও বাড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৭ ০০:২৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

শুধু মায়ের দুধ, না কি তার সঙ্গে কয়েক চামচ জল থাকবে? মাস ছয়েক পেরোলেই কি পাতলা মাছের ঝোল আর ভাত খাওয়ানো যেতে পারে? দেহে সর্ষের তেল মাখিয়ে রোদে দিলে কি চামড়া ভাল হবে?

Advertisement

এমন বহু প্রশ্ন ঘুরপাক খায় সদ্যোজাতের বাবা-মায়ের মনে। কথা ফোটার আগে বাবা-মা, বাড়ির লোকদের বুঝতে হয় শিশুর না বলতে পারা সমস্যাগুলি। সেখানেই তৈরি হয় জটিলতা। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের যত্ন নিয়ে বহু ভ্রান্ত ধারণা আছে। সেগুলির জেরে অনেক সময়েই সমস্যা আরও বাড়ে।

রবিবার দক্ষিণ কলকাতার একটি প্রেক্ষাগৃহে ‘প্যাম্পার্স সোনামণির স্বাস্থ্যকথা সহযোগিতায় আনন্দবাজার পত্রিকা’ অনুষ্ঠানে নবজাতক থেকে দু’বছর পর্যন্ত শিশুর যত্ন নিয়ে আলোচনা করলেন শিশুরোগ চিকিৎসক কেয়া ঘোষ উত্তম।

Advertisement

আলোচনায় উঠে আসে, শিশুর জন্মের পরে ছ’মাস শুধু মায়ের দুধই যথেষ্ট। তা শারীরিক বৃদ্ধির সঙ্গে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। শিশুকে নিয়মিত স্নান করানো দরকার। ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাবান, শ্যাম্পু ব্যবহার করা যায়। তবে সর্ষের তেল ব্যবহারে অ্যালার্জির ঝুঁকি বেড়ে যায়। পাশাপাশি, শিশুর ঘুম পর্যাপ্ত হচ্ছে কি না, সে বিষয়েও নজর রাখা জরুরি। কারণ শিশুর সঠিক শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে পর্যাপ্ত
ঘুম দরকার।

কেয়াদেবী জানান, প্রথম ছ’মাস যে হারে শিশু বাড়ে, পরে সেই হার কমে। তা নিয়ে চিন্তার কারণ নেই। নবজাতককে দু’ঘণ্টা অন্তর খাওয়ানো এবং তার পরে সে দু’-তিন ঘণ্টা ঘুমিয়েছে কি না, সেটা দেখাও জরুরি। সংক্রামক রোগ রুখতে টিকাকরণের প্রয়োজনীয়তার কথাও আলোচনা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement