কড়া নিরাপত্তা পার্ক স্ট্রিটে

কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার বিকেল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ মোতায়েন হয়েছে। বেড়েছে নিরাপত্তার বেষ্টনীও। পার্ক স্ট্রিট চত্বর এবং ময়দানে সেন্ট পল্‌স ক্যাথিড্রাল চত্বরেই নিরাপত্তা সব চেয়ে বেশি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:৫৯
Share:

আহ্লাদ: বড়দিনের আগের সন্ধ্যায় পার্ক স্ট্রিট। ছবি: সুমন বল্লভ

বড়দিনে শুধু সাহেবপাড়া নয়, শহরের বিভিন্ন দ্রষ্টব্য স্থানকে নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে।

Advertisement

কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার বিকেল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ মোতায়েন হয়েছে। বেড়েছে নিরাপত্তার বেষ্টনীও। পার্ক স্ট্রিট চত্বর এবং ময়দানে সেন্ট পল্‌স ক্যাথিড্রাল চত্বরেই নিরাপত্তা সব চেয়ে বেশি। পুলিশ সূত্রের খবর, আজ, মঙ্গলবার বড়দিনে সকাল থেকেই চিড়িয়াখানা, জাদুঘর, তারামণ্ডল, ময়দান, সায়েন্স সিটিতে ভিড় শুরু হবে। তাই ওই জায়গায় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। নিরাপত্তা বা়ড়ানো হয়েছে বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনে। মাদক ও বেআইনি মদ রুখতে তৎপর হয়েছে রাজ্য আবগারি দফতরও।

গত বছর পর্যন্ত পার্ক স্ট্রিটের একটি ফুটপাথ দিয়ে যাওয়া এবং অন্য ফুটপাথ দিয়ে ফেরত আসা যেত। এ বার জওহরলাল নেহরু রোড থেকে পার্ক স্ট্রিটের দু’দিকের ফুটপাথ দিয়ে শুধু যাওয়া যাবে। এ বার অ্যালেন পার্ক ঘুরে বেরোতে হবে ক্যামাক স্ট্রিট দিয়ে। ক্যামাক স্ট্রিটেরও এ বার সাজ বেড়েছে। বড়দিনে পার্ক স্ট্রিটের অ্যালেন পার্কেও এ বার ভাল ভিড় হবে বলেই মনে করছে পুলিশ।

Advertisement

লালবাজারের এক কর্তা জানান, পার্ক স্ট্রিট-সহ গোটা শহরে ১০০টি পুলিশ পিকেট বসেছে। ১৯টি থানা এবং প্রত্যেকটি ডিভিশনের সদরেও অতিরিক্ত বাহিনী থাকছে। শহরের নানা প্রান্তে ২১টি ডিভিশনাল মোবাইল টহলদারি বাহিনী থাকছে। এর সঙ্গে ১৩টি ক্যুইক রেসপন্স টিম, ২০টি মোটরবাইক বাহিনী, ১৪টি হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড, ৬টি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দল থাকছে। পার্ক স্ট্রিট চত্বরকে সাতটি ভাগে ভাগ করে মোট ১০ জন ডেপুটি কমিশনারকে নিরাপত্তার তদারকির ভার দেওয়া হয়েছে। গঙ্গাতেও রিভার ট্র্যাফিক পুলিশ নজরদারি বাড়িয়েছে। নাগরিকদের সুবিধার্থে ১৬টি পুলিশি সহায়তা বুথ খোলা হয়েছে।

শীতোৎসবের আবহে নানা পার্টি চলে। তাই বেআইনি ভাবে মদ বিক্রি ও পান, মাদক রুখতে রাতভর শহরের বিভিন্ন প্রান্তে নেমেছে আবগারি দফতরের বিশেষ দল। তাদের এক কর্তা জানান, বিভিন্ন ক্লাব, পানশালায় তো নজরদারি চলবেই। এর বাইরে কিছু সন্দেহজনক জায়গার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেখানেও নজরদারি থাকবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement