সেই গাড়িটি তল্লাশি করছেন পুলিশ অফিসারেরা। নিজস্ব চিত্র
রাস্তার মাঝে রাখা রয়েছে গার্ডরেল। বাহিনীকে নিয়ে নজরদারিতে রয়েছেন পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা। হঠাৎই গার্ডরেলের সামনে এসে দাঁড়াল বিশেষ নম্বর প্লেট লাগানো একটি গাড়ি। সাধারণত বিদেশি কনসুলেটের গাড়িতে ওই নম্বর প্লেট থাকে। লকডাউনের রাতে ওই গাড়িটি দেখে সন্দেহ হয় পুলিশ অফিসারদের। তাঁরা চালকের কাছে নথি দেখতে চান। গাড়িতে থাকা যুবকেরা দাবি করে, তারা দক্ষিণ কোরিয়ার কনসুলেটের কর্মী। গাড়িটিও কনসুলেটেরই। কিন্তু চালকের আচরণ দেখে এবং লকডাউন পাস দেখাতে না-পারায় পুলিশ অফিসারদের সন্দেহ বাড়ে। চালক এবং যাত্রীদের জেরা করতেই তাঁরা জানতে পারেন, ওই গাড়িটি আদৌ কনসুলেটের নয়। রাতের শহরে ঘুরতে বেরিয়েছেন ওই যুবকেরা।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে শেক্সপিয়র সরণি থানা এলাকার মিডলটন স্ট্রিট এবং রাসেল স্ট্রিটের সংযোগস্থলে। লকডাউন বিধি না-মানা এবং ভুয়ো পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে চালক-সহ তিন জনকে। ধৃতদের নাম বন্ধন আগরওয়াল, মনোজ আগরওয়াল এবং বরুণ হাডা। মনোজ এবং বন্ধনের বাড়ি রডন স্ট্রিটে। বরুণ মিডলটন স্ট্রিটের বাসিন্দা। তারা সকলেই ব্যবসায়ী। গাড়ির মালিক বন্ধন। শুক্রবার ধৃতদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে ৪ মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
এক পুলিশকর্তা জানান, বৃহস্পতিবারই পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা রাতের শহরে নাকা তল্লাশি আরও কঠোর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মতো শেক্সপিয়র সরণি থানা এবং সাউথ ট্র্যাফিক গার্ডের আধিকারিকেরা ডিউটি করছিলেন মিডলটন স্ট্রিট এবং রাসেল স্ট্রিটের সংযোগস্থলে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, গাড়িটি গত বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত একটি বিদেশি কনসুলেটে ভাড়া খাটত। কিন্তু চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও গাড়ির মালিক বন্ধন ওই বিশেষ নম্বর প্লেট খোলেনি।
আরও পড়ুন: আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যু
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা ওই রাতে প্রথমে বাড়িতে বসে মদ্যপান করে। এর পরে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে শহর ঘোরার পরিকল্পনা ছিল তাদের। সেই মতো তিন জন রডন স্ট্রিট থেকে বেরিয়ে মিডলটন স্ট্রিট ধরে যাচ্ছিল। তখনই পুলিশের নজরদারিতে পড়ে।