দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে জগদ্দল থেকে দুই তরুণকে গ্রেফতার করল বিধাননগর পুলিশ। শনিবার রাতে ধৃত বিরাট ঠাকুর ওরফে আশুতোষ এবং শিবম পাণ্ডেকে রবিবার বিধাননগর আদালতে তোলা হয়। তাঁদের পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে আশুতোষের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর। গত ৩০ নভেম্বর ওই কিশোরী টিউশন পড়তে বেরিয়েছিল। পুলিশের দাবি, ধৃতদের জেরায় জানা গিয়েছে— উল্টোডাঙা রেলস্টেশনে আশুতোষের সঙ্গে দেখা করে মেয়েটি। আশুতোষ তাকে প্রথমে শ্যামনগর এবং জগদ্দলের অকল্যান্ড জুটমিলের কুলিলাইনের পরিত্যক্ত একটি ঘরে নিয়ে যায়। অভিযোগ, সেখানে আসে আশুতোষের বন্ধু শিবম। দুই তরুণ এর পরেই ওই কিশোরীর উপরে নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ। পরদিন ওই ছাত্রী বাড়ি ফিরে আসার পরে অভিযোগ দায়ের হয়।
অন্য দিকে, রাজারহাটের চিনার পার্ক থেকে এক তরুণীকে গাড়িতে তুলে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে দুই যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানায়, অভিযোগে তরুণী জানিয়েছেন, শনিবার রাত ২টো নাগাদ বাড়ি লাগোয়া শৌচাগারে যান তিনি। তখনই ক্যাবের মতো দেখতে একটি গাড়ি এসে দাঁড়ায়। ভিতরে দুই যুবক। তরুণীর অভিযোগ, জোর করে গাড়িতে তুলে শ্লীলতাহানি করা হলে সংজ্ঞা হারান তিনি। হুঁশ ফিরতে দেখেন কৈখালিতে গাড়িতে বসে রয়েছেন। রবিবার ভোরে ওই দুই যুবক তাঁকে চিনার পার্কে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে পালায় বলে অভিযোগ। পুলিশের সাহায্যে বাড়ি ফেরেন ওই তরুণী। বিধাননগর পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তে কিছু ক্ষেত্রে ধন্দ তৈরি হয়েছে। দুই অভিযুক্ত ও গাড়িটির খোঁজ চলছে।
গ্রামীণ স্ব-রোজগার গোষ্ঠীর এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে দক্ষিণ শহরতলির বিষ্ণুপুরের দক্ষিণ গৌরীপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মহিলা চিৎকার করে লোক জড়ো করার চেষ্টা করলে তার হাত ভেঙে দেওয়া হয়। উঠেছে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও। সেকেন্দার শেখ নামে তৃণমূলের ওই উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১৬ ডিসেম্বর এক পরিচিতের নাম করে ডেকে নিয়ে মহিলাকে ধর্ষণ করেন তিনি। চিৎকার করলে তাঁর হাত ভেঙে খালে ফেলে পালান। নিগৃহীতার দাবি, পুলিশ সেকেন্দারকে ধরছে না। বিচার চেয়ে নিগৃহীতার পরিবার ও এলাকাবাসীরা স্থানীয় বিধায়ক দিলীপ মণ্ডলের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাতেও কাজ না হলে মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ জানাতে চান তাঁরা।