ভুয়ো পরিচয়ে ভারতে কাজ, দেশে ফেরার পথে ধৃত ৩ বাংলাদেশি

ধৃত দুই তরুণী হাফিজা আখতার ও রোশন আরা এবং যুবক মহম্মদ জসিমুদ্দিনকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়। জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছেন, তাঁদের মতো বহু বাংলাদেশি তরুণ-তরুণী পরিচয় লুকিয়ে কাজ করছেন তামিলনাড়ুর বিভিন্ন কারখানায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:০০
Share:

—প্রতীকী ছবি।

তিন হাজার টাকা দিয়ে দালালের মাধ্যমে বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে বেনাপোল দিয়ে ভারতে চলে এসেছিলেন তিন জন। একবারে নয়। পাঁচ-সাত বছরের ব্যবধানে। রোজগারের আশায় যখন তাঁরা দেশ ছাড়েন, কারও বয়স ছিল ১৬ বছর, কারও ১৮ বা ২৪। তামিলনাড়ুর তিরুপুরে কাপড় তৈরির কারখানায় কাজ নেন। দালাল ধরে ভারতীয় পাসপোর্টও বানিয়ে নেন। কলকাতা থেকে বাংলাদেশ যাওয়ার পথে ওই তিন জন ধরা পড়লেন অভিবাসন অফিসারদের হাতে।

Advertisement

ধৃত দুই তরুণী হাফিজা আখতার ও রোশন আরা এবং যুবক মহম্মদ জসিমুদ্দিনকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়। জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছেন, তাঁদের মতো বহু বাংলাদেশি তরুণ-তরুণী পরিচয় লুকিয়ে কাজ করছেন তামিলনাড়ুর বিভিন্ন কারখানায়। দালাল ধরে তাঁরাও ভারতীয় পাসপোর্ট বানাচ্ছেন।

হাফিজা ও জসিমুদ্দিন ভাই-বোন। বাংলাদেশের রাঙামাটিতে তাঁদের প্রতিবেশী রোশন। ভারতীয় পাসপোর্টে হাফিজার নাম কাজল মণ্ডল, রোশনের নাম রেশমা মণ্ডল এবং জসিমুদ্দিনের নাম জসিম মণ্ডল। পুলিশ জানিয়েছে, ২০১০ সালে প্রথম ভারতে আসেন হাফিজা। তিনি পরে বাকি দু’জনকে নিয়ে আসেন এবং একই দালাল মারফত তামিলনাড়ু যান। এখন মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা রোজগার হয় তাঁদের। এর আগে সীমান্ত পেরিয়ে ঘুরপথে দেশে গেলেও এ বারেই প্রথম বিমানে চেপে দেশে ফেরার ইচ্ছে হয়। তাঁদের কাছে বাংলাদেশের জন্মের শংসাপত্রও মিলেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement