প্রতীকী ছবি।
গাড়ি রাখা নিয়ে বচসা চলছিল একই পাড়ার দুই বাসিন্দার মধ্যে। আচমকাই প্রতিবেশী যুবকের পেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। বরাহনগরে, গত ৪ সেপ্টেম্বরের ওই ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত স্বামী-স্ত্রী ও ছেলেকে গ্রেফতার করেছে। জখম যুবক বর্তমানে বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে আইসিইউয়ে ভর্তি।
ঘটনার রাতেই অভিযুক্ত পরিবারটিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরের দিন তাদের আদালতে তোলা হলে আগামী ১২ তারিখ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
পুলিশকে স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন রাতে হাসপাতালে ভর্তি এক আত্মীয়কে দেখে বাড়ি ফিরছিলেন বরাহনগরের যোগেন্দ্র বসাক রোডের বাসিন্দা শোভরাজ গুহ। বাড়ির গলিতে নিজের গাড়িটি রেখে পাশেই একটি কাজ সারতে গিয়েছিলেন। এমন সময়ে অ্যাপ-ক্যাব নিয়ে স্ত্রী কাবেরী, ছেলে চিরঞ্জীবের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল ওই পাড়ারই বাসিন্দা সনৎ ঘোষ। শোভরাজের গাড়িটি দাঁড়িয়ে থাকার কারণে তাদের অ্যাপ-ক্যাব গলিতে ঢুকতে না পারায় রাস্তায় নেমে চেঁচামেঁচি জুড়ে দেয় ওই প্রৌঢ়। এমনকি গালিগালাজও শুরু করে বলে অভিযোগ। এমন সময় শোভরাজ আপত্তি জানান। ওই যুবকের বৌদি শিল্পা গুহ বলেন, ‘‘আমার দেওর গাড়ির সামনেই ছিলেন। ওই প্রৌঢ়কে চেঁচাতে ও গালিগালাজ করতে শুনে আপত্তি জানান। তাতেই খেপে ওঠে ওই তিন জন।’’
অভিযোগ, এর পরে গাড়ি থেকে নেমে এসে শোভরাজকে মারধর করতে শুরু করে ওই তিন জন। দেখতে পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন শোভরাজের মা মীরাদেবী। অভিযোগ, তাঁকেও ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। হট্টগোল শুনে বেরিয়ে আসেন প্রতিবেশীরা। ভাইকে বাঁচাতে আসেন শোভরাজের দাদা দেবরাজও।
এর মধ্যে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধারালো কিছু দিয়ে অভিযুক্তেরা শোভরাজের পেটে ও পাঁজরের কাছে কয়েক বার আঘাত করে বলে অভিযোগ। ভাইকে লুটিয়ে পড়তে দেখে দেবরাজ এগিয়ে এলে তাঁর ঘাড়েও আঘাত করে অভিযুক্তেরা এবং ঠেলে ফেলে দেয়। তাঁর হাত ভেঙে যায়। এর পরেই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় অভিযুক্ত তিন জন। স্থানীয়েরা দুই ভাইকে প্রথমে বরাহনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে শোভরাজকে বাইপাসের ধারে এবং দেবরাজকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন দেবরাজ। পুলিশ জানায়, শিল্পাদেবীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তদের।