ক্যানসার রোগীকে নিগ্রহে ধৃত ৩

পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম ভক্ত দাস, সুকুমার মণ্ডল ও ভাষা ওরফে অসীম হালদার। সোমবার তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ০১:২৩
Share:

—প্রতীকী ছবি।

বাঁশদ্রোণী-কাণ্ডে শেষ পর্যন্ত অভিযুক্ত তিন জনকে গ্রেফতার করল রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ। কালীপুজোর ভাসানের সময় শব্দবাজির প্রতিবাদ করেছিলেন বাঁশদ্রোণীর প্রফুল্ল পার্কের বাসিন্দা সন্দীপ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী ছন্দাদেবী। সন্দীপবাবু ক্যানসার আক্রান্ত। শব্দবাজির প্রতিবাদ করায় শুক্রবার রাতে ওই দম্পতি ও তাঁর ছেলেকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারধরের ঘটনায় অভিযোগ ওঠে স্থানীয় একটি ক্লাবের কয়েক জনের বিরুদ্ধে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম ভক্ত দাস, সুকুমার মণ্ডল ও ভাষা ওরফে অসীম হালদার। সোমবার তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

রিজেন্ট পার্ক থানার এক তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, ঘটনার দিনই ওই পরিবারটি মারধরের অভিযোগ দায়ের করে। পাল্টা মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন অভিযুক্তেরাও।

Advertisement

অভিযুক্তেরা গ্রেফতার হলেও ঘটনার দু’দিন পরে ভয় কাটেনি ওই পরিবারটির। সন্দীপবাবুর স্ত্রী ছন্দা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ঘটনার পর থেকে আমার স্বামী আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মাঝেমধ্যেই এখনও আতঙ্কে কেঁপে উঠছেন। ওঁকে আমরা কোনও রকমে শান্ত করে রেখেছি।’’

আইনি সাহায্য দিতে এ দিন সন্দীপবাবুদের বাড়িতে যান দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রাক্তন আইন আধিকারিক বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, রাত এগারোটার পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে অভিযুক্তেরা বাজি ফাটাচ্ছিলেন। বিশ্বজিৎবাবু বলেন, ‘‘আমি বিষয়টি স্বরাষ্ট্র দফতর ও কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে লিখিত ভাবে জানাব ও সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করাব।’’

এ দিন ছন্দাদেবী বলেন, ‘‘আমার স্বামীকে যারা মারধর করল তাদের দৃষ্টান্তামূলক শাস্তির দাবি করছি। সেই সঙ্গে সরকারের কাছে আমার স্বামীর চিকিৎসার খরচ দাবি করছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement