অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুরের পরে। রবিবার, চারু মার্কেট এলাকায়। নিজস্ব চিত্র
বাড়ির সামনে এক প্রৌঢ়কে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল। শনিবার রাতে, চারু মার্কেট থানা এলাকার এই ঘটনায় এক মহিলা-সহ মোট তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম দীপক বিশ্বাস, অনির্বাণ বিশ্বাস এবং প্রিয়াঙ্কা বিশ্বাস।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ চারু মার্কেটের সুলতান আলম রোডে রীতেশ বণিক নামে পঞ্চাশোর্ধ্ব ওই প্রৌঢ় প্রতিবেশী দীপক বিশ্বাসের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছিলেন। অভিযোগ, সে সময়ে তাঁকে দেখতে পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে দীপক তর্কাতর্কি শুরু করেন। পুলিশ জানিয়েছে, কথা কাটাকাটি, বচসা থেকে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। ইতিমধ্যে দীপকের ভাইপো অনির্বাণ ও ভাইঝি প্রিয়াঙ্কাও বেরিয়ে এসে রীতেশবাবুর উপরে চড়াও হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে, এরই মধ্যে দীপক বাড়িতে ঢুকে গিয়ে একটি ছুরি নিয়ে এসে রীতেশবাবুর পিঠে ঢুকিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে রক্তাক্ত রীতেশবাবুকে প্রথমে এম বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে রাতে তাঁকে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, রীতেশবাবুর অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
এই ঘটনার পরে রাতেই উত্তেজিত জনতা দীপকের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়েই রাতেই চারু মার্কেট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বাড়ি থেকে দীপক-সহ অভিযুক্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মারধর এবং খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বছর পঞ্চাশের দীপকের বিরুদ্ধে এর আগেও স্থানীয় দু’জন বাসিন্দাকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল। রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে গেলে চারু মার্কেট প্লেসের (পূর্ব) বাসিন্দারা দীপকের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। স্থানীয় এক বাসিন্দা খুশিগোপাল সাহার অভিযোগ, ‘‘কয়েক বছর আগে আমার ভাইকে ক্ষুর চালিয়েছিল দীপক। পাড়ার লোকেদের সঙ্গে ওর কোনও কথাবার্তা নেই। কোনও কারণ ছাড়াই দীপক ওরফে কালু এলাকার সকলের সঙ্গে ঝামেলা করে। ওর বিরুদ্ধে পুলিশকে একাধিক বার অভিযোগ জানানো হয়েছিল।’’ এ দিন দীপকের বৌদি বেলা বিশ্বাস বলেন, ‘‘শনিবার রাতে চিৎকার শুনে বেরিয়ে এসে দেখি, দীপকের সঙ্গে রীতেশের ঝামেলা চলছে। এরই মধ্যে ও বাড়ি থেকে ছুরি নিয়ে গিয়ে দীপকের পিঠে চালাল। ওর ছুরি চালানো একদম উচিত হয়নি।’’