দীপা জায়সবাল। নিজস্ব চিত্র
দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসের জানলা দিয়ে এক মহিলার হার ছিনিয়ে নিয়েছিল এক যুবক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই মহিলা ও তাঁর স্বামী বাস থেকে নেমে ধাওয়া করে ধরে ফেলে ওই যুবককে। যদিও চুরি যাওয়া হার উদ্ধার হয়নি শেষমেশ।
শনিবার দুপুর ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া ব্রিজের কাছে নেতাজি পার্কের সামনে জি আর রোডে। পুলিশ জানায়, হাওড়া পঞ্চাননতলা রোডের বাড়ি থেকে এক আত্মীয়কে দেখতে একটি বেসরকারি রুটের বাসে চেপে শ্যামবাজার যাচ্ছিলেন আরিয়ান জায়সবাল এবং তাঁর স্ত্রী দীপা জায়সবাল। পুলিশ জানায়, বাসটি যখন যাত্রী তুলতে নেতাজি পার্কের কাছে দাঁড়িয়েছিল তখন বাইরে থেকে এক যুবক দীপার গলার সোনার হারটি হ্যাঁচকা টানে ছিঁড়ে নিয়ে দৌড়তে শুরু করে। পুলিশ জানায়, বাস থেকে নেমে ছিনতাইবাজকে ধাওয়া করেন ওই দম্পতি এবং ধরেও ফেলেন। তত ক্ষণে ভিড় জমে যায়। হার ছিনতাই করেছে শুনেই শুরু হয় গণপ্রহার। খবর পেয়ে পুলিশ ওই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু হারটি মেলেনি।
পুলিশ জানায়, এ দিন হাওড়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় পরপর তিনটি হার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এর আগেও দুই মহিলা এসে ছিনতাইবাজের বর্ণনা দেন। পরে দেখা যায় ধরা পড়া তিনটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে একই ব্যক্তি। জেরায় পুলিশ জেনেছে, ধৃত যুবকের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। সেখান থেকে এসে একের পর এক ছিনতাই করছিল ওই ব্যক্তি।
এ দিকে যে দম্পতির চেষ্টার ওই ছিনতাইবাজ ধরা পড়ে তাঁদের অভিযোগ, এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ ঘটনা ঘটলেও অভিযোগ না নিয়ে তাঁদের বেলা আড়াইটে পর্যন্ত থানায় বসিয়ে রাখা হয়। দীপাদেবী বলেন, ‘‘ছিনতাইবাজকে ধরার পরে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে এসেছিলাম। কিন্তু অভিযোগ না নিয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়।’’
হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘দম্পতির অভিযোগ নিতে কেন দেরি হয়েছে তা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। খোয়া যাওয়া হারটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। অনুমান করা হচ্ছে ছিনতাইবাজের একটি দল এ দিন হাওড়ায় ঢুকেছিল। তারাই এ কাজ করে পালিয়েছে।’’