ফাইল চিত্র।
বৃহস্পতিবার সকালে দমদম স্টেশনের সামনে গার্ডরেল বসানো, মোতায়েন একাধিক পুলিশকর্মী। ভারী গাড়ি যাতে সীমানা পেরিয়ে নাগেরবাজারের দিকে যেতে না পারে, তাই এই ব্যবস্থা। অন্য দিকে নাগেরবাজার মোড়েও মোতায়েন ট্র্যাফিক কর্মী। কোন পথে বাস-সহ ভারী গাড়ি যাবে, সেটা দেখানোই ছিল তাঁদের মূল কাজ। দিনভর এই নজরদারির কারণেই মূলত যানজট কিছুটা কম হল আংশিক বন্ধ দমদম রোডে।
হনুমান মন্দিরের কাছে বাগজোলা খালের কালভার্টের উপরে বুধবার ধস নামে। পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পরেই যান নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত হয়। বৃহস্পতিবার থেকেই নাগেরবাজার মোড় থেকে দমদম স্টেশন পর্যন্ত অংশে বাস-সহ ভারী গাড়ি নিষিদ্ধ হয়। তবে অপরিসর দমদম রোডে বিপুল যানজট রুখতে রুট পরিবর্তন করিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে যানশাসন করা হয়।
নয়া ব্যবস্থায় শ্যামবাজার ও ডানলপের দিকের সব বাসকে নাগেরবাজার মোড় থেকে যথাক্রমে আর জি কর মুখী এবং বিমানবন্দরমুখী করে দেওয়া হয়েছে। আবার দমদম চিড়িয়ামোড় থেকে নাগেরবাজারগামী বাস এবং ভারী গাড়িকে সেভেন ট্যাঙ্কস মোড় থেকে নর্দার্ন অ্যাভিনিউ হয়ে নাগেরবাজারের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সকালে বাসচালকদের কেউ কেউ দমদমের দিকে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। পুলিশকর্মীরা তাঁদের নির্দিষ্ট পথ বাতলে দেন। কালভার্টের উপরে নজর রাখতে হনুমান মন্দিরের কাছেও ট্র্যাফিক এবং সিভিক ভলান্টিয়ারদের মোতায়েন করা হয়েছিল।
এ দিন দমদম রোডে যানজটের সমস্যা ঠেকাতে পারলেও পকেট হাল্কা হওয়ার কথা বলছেন বাসকর্মী থেকে যাত্রী— সকলেই। যেমন, বাসকর্মীদের কথায়, নাগেরবাজার থেকে দমদম চিড়িয়ামোড়ের পথে তাঁদের অনেক যাত্রী হত। কিন্তু নতুন পথে আয় কম, সময়ও লাগছে বেশি। মতিঝিলের কাছে অটোর অপেক্ষায় থাকা অনুপ কর নামে এক যাত্রী জানান, আগে এক বাসে দমদম চিড়িয়ামোড় যাওয়া যেত। এখন দু’বার অটো বদলে বাড়তি খরচ হচ্ছে। পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, নাগেরবাজার কিংবা দমদম স্টেশন থেকেই অটো ভরে যায়। ফলে মাঝের অংশের যাত্রীদের অটো পেতে বহু ক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে। যাত্রীদের অন্য অংশের মতে, বাস ও ভারী গাড়ি বন্ধ হওয়ায় রাস্তা এখন ফাঁকা। ফলে দ্রুত স্টেশনে পৌঁছনো যাচ্ছে।