গভীর রাতে বাড়ির দরজায় পুলিশ! দেখেই চমকে গিয়েছিলেন গৃহকর্তা। এক প্রকার ভয় পেয়েই দরজা খুলে দিয়েছিলেন। আর তখনই ঘটল বিপত্তি। হুড়মুড়িয়ে বাড়িতে ঢুকল চার যুবক। দু’জনের পরনে পুলিশের উর্দি, অন্য দু’জন সাধারণ পোশাকে। কোমরে গোঁজা পিস্তল গৃহকর্তার মাথায় ধরে চলল লুঠ।
বুধবার রাতে এই দুঃসাহসিক ডাকাতি হয়েছে হাওড়ার বাঁকড়ায়। তদন্ত শুরু করেছে ডোমজুড় থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত এতে জড়িত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
পুলিশ সূত্রের খবর, বাঁকড়ার রসিককলে একটি তিনতলা বাড়ির একতলায় সপরিবার থাকেন পেশায় মাংস ব্যবসায়ী শাহিম কুরেশি। বুধবার রাত আড়াইটে নাগাদ দরজায় ধাক্কাধাক্কি শুনে চমকে যান শাহিম। দেখেন, সদর দরজায় ধাক্কা দিয়ে তাঁর নাম ধরে ডাকাডাকি করছে দুই পুলিশকর্মী। সঙ্গে রয়েছে সাধারণ পোশাকের আরও দু’জন। রাস্তায় দাঁড় করানো রয়েছে দু’টি মোটরবাইক। শাহিমের অভিযোগ, কী কারণে ডাকাডাকি করা হচ্ছে জানতে চাইলে পুলিশের উর্দি পড়া ওই দুই যুবক জানায়, শাহিমের ব্যবসা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। ট্রেড লাইসেন্স আছে কি না, দেখতে এসেছে তারা। এ কথা শুনেও প্রথমে দরজা খুলতে রাজি হননি শাহিম। তখন আরও জোরে দরজায় ধাক্কা দিতে শুরু হওয়ায় ভয়ে দরজা খুলে দেন ওই ব্যবসায়ী।
অভিযোগ, বাড়িতে ঢুকেই দুষ্কৃতীরা পিস্তল দেখিয়ে হুমকি দেয় টাকা-পয়সা, সোনা বার করে দিতে। শাহিম বলেন, ‘‘ আপত্তি করতেই আমার মাথায় পিস্তল দিয়ে মারে। কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে বাড়ির লোককে ভয়ও দেখায়।’’ এর পরেই আলমারি খুলে তিন লক্ষ টাকা ও কয়েক ভরি সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয়।
পরে ডোমজুড় থানার পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, ওই চার জন মোটরবাইকে চেপে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরেই পালিয়েছে। হাওড়া জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘কে বা কারা পুলিশের উর্দি পড়ে এসেছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে ওই ব্যবসায়ীর বিবরণ শুনে অপরাধীদের ছবিও আঁকানো হবে।’’