গঙ্গাসাগর মেলার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাবুঘাটে অসংখ্য পুণ্যার্থী হাজির হন। ফাইল চিত্র।
গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে বাবুঘাটের শিবিরে পুণ্যার্থীদের জন্য আপাতত কোনও কড়া কোভিড-বিধি বলবৎ করা হচ্ছে না। গঙ্গাসাগর মেলার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাবুঘাটে অসংখ্য পুণ্যার্থী হাজির হন। চিন-সহ বিভিন্ন দেশে ফের করোনার সংক্রমণ যে ভাবে বেড়েছে, তাতে গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুটা উদ্বেগ থাকছে।
শিবির তৈরি-সহ পুণ্যার্থীদের যাবতীয় পরিষেবামূলক কাজ সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে শনিবার কলকাতা পুরভবনে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এ দিনের বৈঠকেকলকাতা পুরসভা ছাড়াও সেনাবাহিনী, কলকাতা পুলিশ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি, সিইএসসি-সহ বিভিন্নস্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এখনও পর্যন্ত যে নির্দেশিকা এসেছে, তাতে আমরা বাবুঘাটে কোভিড পরীক্ষারব্যবস্থা রাখছি। মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ারের ব্যবস্থাও থাকবে। কিন্তু আর অন্য কোনও বিধি মানতে এখনই বলা হচ্ছে না। যদি এর মধ্যে ভারতে আবার কোভিড বাড়ে, তা হলে নিশ্চিত ভাবেই কেন্দ্রের নির্দেশিকা আসবে, তখন সেই অনুযায়ী আমাদের আবারএখান থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত সব বদলে নিতে হবে।” তিনি আরও জানান, বাবুঘাটে কোভিড পরীক্ষার জন্য আপাতত একটি শিবিরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পরে পরিস্থিতিঅনুযায়ী সিদ্ধান্ত বদল করা হতে পারে। থাকছে পর্যাপ্ত মাস্কও স্যানিটাইজ়ারও।
বৈঠক শেষে মেয়র আরও জানান, এ বারের গঙ্গাসাগর মেলায় আগত পুণ্যার্থীদের জন্য ‘সিঙ্গল টিকিট’-এ গঙ্গাসাগর যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিষয়টি পরিবহণ দফতর দেখছে। চলতি বছরে মেলার সময়ে শহরে জি-২০ সংক্রান্ত প্রস্তুতি বৈঠক ছাড়াও ভারত-শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট ম্যাচও রয়েছে। ওই সময়ে শহরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও শহর পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য বাড়তি ব্যবস্থাপনা রাখা হচ্ছে। ১২ জানুয়ারি ইডেনে ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে থেকেই বাবুঘাটে গঙ্গাসাগরের জন্য শিবির শুরু হয়ে যাবে। তাই খেলার দিনে ওই এলাকায় গাড়ি রাখা যাবে না। তার পরিবর্তে শহিদ মিনার, মোহনবাগান, মহমেডান ও ইস্টবেঙ্গল মাঠের আশপাশে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করার ব্যাপারে পুলিশকে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, ওই সময়ে কলকাতায় জি-২০ বৈঠক উপলক্ষে দেশ-বিদেশের বহু অতিথি আসবেন। তাই শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে দিনে চার-পাঁচ বার পুরসভার জঞ্জাল বিভাগের কর্মীরা সাফাইয়ের কাজ করবেন। প্রিন্সেপ ঘাট, বাজেকদমতলা ঘাট-সহ গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে বায়ো টয়লেট বসানো হবে। মেয়র জানান, রেললাইন, গঙ্গার ঘাটের আশপাশে যাতে কেউ মল-মূত্র ত্যাগ না করেন, তার জন্যই বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা থাকবে। বাবুঘাটের শিবিরেও একাধিক অস্থায়ী শৌচালয় তৈরি করা হবে। সেগুলি দিনে একাধিক বার পরিষ্কারের জন্য পুরসভা প্রচুর কর্মী মোতায়েন করবে।