আগামী ৩১ মে পর্যন্ত যাত্রী পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত বাণিজ্যিক গাড়িতে ওই যন্ত্র বসানো যাবে। ফাইল ছবি।
বাণিজ্যিক ভাবে যাত্রী পরিবহণের গাড়িতে অবস্থান নির্ণয় যন্ত্র বসানোর মেয়াদ বৃদ্ধির নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার। চলতি মাসে ওই সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা ছিল। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, আগামী ৩১ মে পর্যন্ত যাত্রী পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত বাণিজ্যিক গাড়িতে ওই যন্ত্র বসানো যাবে।
রাজ্যে ২০১৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত তৈরি হওয়া দু’লক্ষ ৮০ হাজার গাড়িতে ওই যন্ত্র বসানোর কথা থাকলেও এ পর্যন্ত মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজারের কিছু বেশি গাড়িতেই তা বসেছে। সরকার নির্ধারিত ১২টি সংস্থা ৩১ মার্চের মধ্যে ওই বিপুল সংখ্যক যন্ত্রের জোগান দিতে পারবে না বুঝেই সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর।
নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, ৩১ মে পর্যন্ত যাত্রী পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত বাণিজ্যিক গাড়িতে ওই যন্ত্র বসানোর জন্য ছাড় দেওয়া হয়েছে। তার আগে গাড়ির স্বাস্থ্য সংক্রান্ত শংসাপত্র নেওয়া যাবে। তবে সে ক্ষেত্রে ৩১ মে-র মধ্যে যন্ত্র বসানো হবে বলে লিখিত ভাবে জানাতে হবে গাড়ির মালিককে। তা না-হলে তার পর থেকে প্রতিদিন ৫০ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে বলে জানিয়েছে পরিবহণ দফতর।
সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্তে খুশি পরিবহণ সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ। সংগঠনের তরফে টিটু সাহা এবং ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘৩১ মে-র মধ্যেও এত সংখ্যক গাড়িতে যন্ত্র বসানো কত দূর সম্ভব, সেই সংশয় আছে।’’ সংগঠনগুলির দাবি, ৩১ মে-র পরে গাড়ির শংসাপত্রের নবীকরণের সময়ে ওই যন্ত্র বসিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হোক। তাতে চাপ কম পড়বে। যদিও পরিবরণ দফতর আরও সময় বাড়াতে এখনই নারাজ। বাম শ্রমিক সংগঠন এআইটিইউসি-র নেতা নওলকিশোর শ্রীবাস্তব আবার বলছেন, ‘‘আরও কিছু নতুন সংস্থাকে এই প্রক্রিয়ায় শামিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, ওই যন্ত্রের দাম এ বার কমবে।’’