উৎসবের প্রস্তুতি

সব পাড়াতেই এখন পুজোর সাজ। চলছে মণ্ডপ তৈরি। প্রতিমা নির্মাণ। জমে উঠেছে উৎসবের প্রস্তুতি। কোন পাড়ায় কী হচ্ছে তার আগাম হদিস।সব পাড়াতেই এখন পুজোর সাজ। চলছে মণ্ডপ তৈরি। প্রতিমা নির্মাণ। জমে উঠেছে উৎসবের প্রস্তুতি। কোন পাড়ায় কী হচ্ছে তার আগাম হদিস।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৬ ০১:৪৭
Share:

অবসর সর্বজনীন

Advertisement

এ বছর আমরা শিশু-কিশোরদের উপহার দিতে চলেছি এক কল্পনার জগৎ, যেখানে ওরা প্রতিদিনকার ব্যস্ততা ভুলে আনন্দে থাকতে পারবে। তাই আমাদের থিম ‘চলো পরির দেশে’। নানা ফুল-পাখি-প্রজাপতির মোটিফে সেজে উঠবে এই কাল্পনিক জগৎ। মণ্ডপ সজ্জায় ব্যবহার করা হচ্ছে কাগজ, ফাইবার গ্লাস, এসি মেশিনের পাইপ। প্রতিমার মধ্যেও থাকছে থিমের ছোঁয়া। উদ্বোধনী সন্ধ্যায় রয়েছে বস্ত্র বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

Advertisement

ভবানীপুর স্বাধীন সঙ্ঘ

৬৮তম বছরে আমাদের অনুপ্রেরণা মুখ্যমন্ত্রীর লেখা ‘সোনার বাংলা’ কবিতাটি। আমরা মনে করি, সংস্কৃতিবান মানুষই পারে উন্নত সমাজ তৈরি করতে। মণ্ডপের বাইরে থাকছে সাঁওতাল গ্রাম, ছো নাচের মডেল। ভিতরে ১৫০টি মডেলের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে বাংলার সংস্কৃতি। তার মধ্যে যেমন থাকছে কীর্তন, সাঁওতাল নাচ, নবান্ন উৎসব, সিঁদুরখেলা, তেমনই থাকছেন রবীন্দ্রনাথ, নজরুল। এই পুজোয় লাল পাড় সাদা শাড়িতে মা থাকছেন লোকজননী রূপে।

ভবানীপুর কিশোর সঙ্ঘ

৪৯ বছরে পা দিল আমাদের পুজো। সাবেক ভাবনা থেকে একটু বেরিয়ে এ বার প্রথম থিমের পুজো করছি আমরা। বুনন শিল্পে সাজছে আমাদের মণ্ডপ। এই মণ্ডপে ঢোকার মুখেই থাকবে ৪২ ফুট উঁচু দুর্গামূর্তি। নানা রঙের সুতোর কাজে সেটি সাজানো হবে। মণ্ডপের ভিতরে ঠাকুরদালানের পরিবেশ। পুজোর নানা উপকরণ, শিউলি, পদ্ম, শঙ্খ ইত্যাদির ম্যুরালে দেওয়াল সাজাচ্ছেন আর্ট কলেজের প্রাক্তনীরা। বরাবরের মতো সাবেক সাজে থাকবেন মা। প্রতিমা আসছে চন্দননগর থেকে।

৬৪ পল্লি পূজা পরিষদ

৬৮তম বছরে আমাদের থিম ‘রূপান্তর’। বাংলার টেরাকোটা, কাঁথা স্টিচের কাজ অন্য আঙ্গিকে দেখতে পাবেন দর্শকরা। মূলত লোহা, স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম ও কাঠ দিয়ে এই কাজ হচ্ছে। মণ্ডপের প্রবেশ পথে থাকবে ঝুলন্ত নকশা। থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিমা তৈরি হলেও তাতে থাকছে সাবেক রূপের ছোঁয়া। প্রতিমার পোশাক ও গয়নায় থাকবে নজরকাড়া সুতোর কাজ।

৬৮ পল্লি সর্বজনীন

সাবেকিয়ানা বজায় রেখেই আমরা বরাবর পুজো করি। এ বার আমাদের পুজো ৭০ বছরে পড়ল। কয়েকটা দিন হাসি-আড্ডা গানে জমজমাট হয়ে থাকে গোটা পাড়া। একচালার প্রতিমায় থাকবে রঙিন রাংতার সাজ। যা ঝলমল করবে সন্ধ্যার আলোয়। পুজোর পরেই দুঃস্থদের জন্য নানা আয়োজন করি আমরা। সেখানে হাত লাগান সব বাসিন্দা।

আলিপুর সর্বজনীন

আমাদের পুজোয় সমস্ত উপচার ও পদ্ধতিগত দিকগুলি কঠোর ভাবে মেনে চলা হয়। ৬৮তম বর্ষেও এর অন্যথা হবে না। কৃষিই হোক বা বাড়ি তৈরি, মাটি কর্ষণ ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়। সভ্যতা এগিয়ে যাওয়ার মূলেও রয়েছে কর্ষণ। আর তাতে বড় ভূমিকা রয়েছে নারীর। সেই ভাবনা থেকেই আমাদের থিম ‘কর্ষণে স্ত্রী-শক্তি’। মণ্ডপে থাকবে লাঙল দিয়ে নানা ইনস্টলেশন। দেবী দুর্গা বেদীতে আসীন। দর্শকদের নজর কাড়বে তাঁর ৩২টি হাত। এতগুলি হাতের অর্থ মণ্ডপে ঢোকার মুখেই লেখা থাকবে। পুজোর দিনগুলিতে থাকছে বস্ত্র ও ভোগ বিতরণ।

সাহাপুর পল্লি আষাঢ় স্পোর্টিং

শহরে কংক্রিটের ভিড়ে এখন প্রায় শোনাই যায় না পাখির ডাক। ৮৫তম বর্ষে তাই আমাদের ভাবনা ‘ওরা কেমন আছে?’। ওরা, অর্থাৎ পাখিরা। পোড়ো বাড়ির আদলে তৈরি হচ্ছে আমাদের মণ্ডপ। তার ভিতরে শোলা দিয়ে থাকছে নানা প্রজাতির পাখি। দেখানো হবে তাদের জীবনযাত্রা। উল্টো ‘ইউ’ আকৃতির সিলিং সাজানো হবে কাগজের তৈরি গাছের ডাল ও পাতা দিয়ে। একটি ফানেলের মধ্যে মা থাকবেন সাবেক রূপে। আবহে বাজবে নানা পাখির ডাক। পাশাপাশি থাকছে ফ্যাশন শো, পুতুলনাচের মতো নানা অনুষ্ঠান।

বড়িশা সর্বজনীন

আমাদের পুজোর থিম ‘আড়াই চালে কুপোকাত/ পঞ্চতত্ত্বে কিস্তিমাত’। এ বার দেবীর আগমন ও প্রস্থান ঘোড়ায়। তাই মণ্ডপ জুড়ে থাকবে ঘোড়ার উপস্থিতি। মণ্ডপের সামনে পাঁচটি বেগবান ঘোড়া যা পঞ্চতত্ত্বের প্রতীক। উপরে থাকছে জগদীশ্বরের মূর্তি, যিনি ঘোড়াগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। ভিতরে থাকবে কাঠের কারুকাজ। পঞ্চতত্ত্বের মূর্তিগুলি যান্ত্রিক উপায়ে ঘুরবে। রয়েছে লেজার আলোর কাজও। আবহে শোনা যাবে স্তোত্রপাঠ। ৬৮তম বছরে পা দিয়ে আমাদের প্রতিমা সাবেক। সারা বছরই আমরা বিভিন্ন সামাজিক কল্যাণমূলক কাজ করে থাকি। সপ্তমীর দুপুরে রয়েছে সকলের জন্য খাওয়াদাওয়া।

যাদবপুর নর্থ রোড সর্বজনীন

এলাকার মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত আমাদের পুজো পা দিল ৩৩ বছরে। বিষ্ণুপুরের মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। ভিতরে থাকবে ফাইবার গ্লাস ও বাটামের কাজ। গ্রামবাংলার সাবেক প্রতিমায় মাটির চালচিত্র। পুজো উদ্বোধন চতুর্থীর সন্ধ্যায়। চার দিন থাকছে বস্ত্র বিতরণ, রক্তদান শিবির, নানা অনুষ্ঠান। অষ্টমী ও নবমী দু’দিনই ভোগ বিতরণ করা হবে।

বিজয়গড় ভারতমাতা

সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষে আমাদের মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে লোটাস টেম্পলের আদলে। মণ্ডপের ভিতরে পাওয়া যাবে বাগানের পরিবেশ। সেই বাগানে থাকবে ফোয়ারা। মণ্ডপ সাজবে নানা মনীষীর মূর্তি দিয়ে। বৈষ্ণোদেবীর মূর্তির আদলে তৈরি হচ্ছে আমাদের প্রতিমা। দেখলে মনে হবে যেন শ্বেতপাথর দিয়ে তৈরি। সিংহবাহিনী মায়ের চার হাত। সেই হাতে থাকছে জাতীয় পতাকা, ত্রিশূল, কমন্ডলু এবং রুদ্রাক্ষের মালা। তৃতীয়া থেকে অষ্টমী পর্যন্ত হবে নানা অনুষ্ঠান। এ ছাড়া, অষ্টমীর দিন একটি রক্তদান শিবিরেরও আয়োজন
করা হয়েছে।

রবীন্দ্রপল্লি সর্বজনীন (ব্রহ্মপুর)

আমাদের পুজো এ বার ২৯ বছরে পা দিল। সেই উপলক্ষে পুরনো রাজবাড়ির আদলে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। কাপড়, বাঁশ, প্লাই দিয়ে তৈরি মণ্ডপে থাকবে থার্মোকল ও বাটামের কাজ। সেই সঙ্গে মানানসই ঝাড়বাতি। মণ্ডপে ঢুকলেই দর্শনার্থীরা দেখবেন আলো-আঁধারির এক পরিবেশ। সনাতন ও আধুনিকতার মিশেলে এখানে চিন্ময়ী রূপে থাকছে মাতৃমূর্তি। ক্যুইজ, অন্ত্যাক্ষরীর মতো অনুষ্ঠানের আকর্ষণে পুরো পাড়ার মনোযোগ থাকে মণ্ডপেই।

বাগুইআটি ইউনাইটে়ড ক্লাব

‘শারদপ্রাতে কালের স্রোতে, মাতল শিল্প উৎসবেতে’— এই ভাবনা থেকে ৫৩তম বর্ষে আমাদের পুজো সেজে উঠছে বাংলার শিল্পকলায়। শিল্পী শঙ্কর পালের ভাবনায় মণ্ডপে হবে মধুবনী, ডোকরা, টেরাকোটা শিল্পের কাজ। সন্তোষকুমার পালের তৈরি সাবেক সনাতনী প্রতিমায় থাকছে ডাকের সাজ। প্রদীপের আলোয় উজ্জ্বল হবে মণ্ডপ। বাড়তি আকর্ষণ ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড’-এর খেলা। তৃতীয়ায় পুজো উদ্বোধন। একাদশী পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান। দশমীতে থাকছে প্রায় ২৫০০-৩০০০ জনের খাওয়ার ব্যবস্থা।

উল্টোডাঙা পল্লিশ্রী

আমাদের ৬৮তম বর্ষের মূল ভাবনা ‘রঙে আলোয় সাজছে পাড়া/ পল্লিশ্রীতে খুশির ধারা’। শিল্পী স্বপন পালের প্রতিমা সাবেক ধাঁচের হলেও তাতে থাকছে থিমের ছোঁয়া। মানস রায়ের ভাবনায় হরেক রকম পশু, পাখির মোটিফ, পুতুল, মোমবাতি দানে সাজছে এলাকা ও প্যাণ্ডেল। অষ্টমীতে সকলের জন্য ভোগ বিতরণের পাশাপাশি থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

কাঁকুড়গাছি কেআইটি ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন

শিল্পী সনাতন রুদ্র পালের হাতে গড়া সাবেক প্রতিমাতেই আলোকিত হবে আমাদের মণ্ডপ। থাকছে একটুকরো গ্রাম। দুর্গার আগমন এ বার ঘোড়ায়। তাই ১৮ ফুটের প্রতিমা ঘোড়ায় আসীন। লড়াই নয়, আন্তরিকতাই এই পুজোর মুখ্য ভাবনা। তাই বহু বছর আগে যাঁরা বাইরে চলে গিয়েছেন, তাঁরাও ফিরে আসেন পাড়ায়। বছরের এই চার দিনে, সকলের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে।

শ্যামবাজার পল্লি সঙ্ঘ

বাংলার চিরায়ত পাট শিল্পকে তুলে ধরাই আমাদের ৫৬তম বর্ষের মূল উদ্যোগ। সেই ভাবনা থেকেই মণ্ডপ সেজে উঠছে পাটের তৈরি সিংহ, মুখোশ, ফুল ইত্যাদি নানা কারুকাজে। মণ্ডপ দক্ষিণ ভারতীয় মন্দিরের আদলে। শিল্পী বিশ্বনাথ পাল ও নবকুমার পালের তৈরি প্রতিমা সকলের মন কাড়বে বলে আশা করছি। এ ছাড়াও নবমীতে প্রতি বছরের মতোই থাকবে দরিদ্র সেবা, পাত পেড়ে খাওয়া আর বস্ত্র বিতরণ।

হরি ঘোষ স্ট্রিট সর্বজনীন

‘পুতুল নেবে গো...’। ছোটবেলায় হরেক রকম রঙিন পুতুল নিয়ে ঘুরে বেড়ানো সেই ফেরিওয়ালা এখন কোথায়? ডিজিটালের যুগে হারিয়েই যেতে বসেছে আমাদের রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পুতুল শিল্প। ৭৮তম বর্ষের ভাবনায় সেই শিল্পকেই ফিরে দেখা। গাছের ডাল, কাপড়, কাগজ দিয়ে শিল্পী অনিমেষ দাস তৈরি করছেন নানা জেলার রঙিন পুতুল। শিল্পী দুলালচন্দ্র পালের তৈরি সাবেক প্রতিমাও সকলের নজর কাড়বে বলে আশা। নবমীতে দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে নানা ভাজা-ভুজি থেকে মিষ্টি অবধি ৫৬ ভোগের আয়োজন। বাকি ক’টা দিন কিন্তু পাড়ায় এক প্রকার অরন্ধনই হয় বলা চলে।

উত্তর কলকাতা সংহতি স্পোর্টিং

হংকংয়ে রয়েছে বিশ্বের অন্যতম বড় অ্যাকোয়ারিয়াম। তারই আদলে সেজে উঠছে আমাদের এ বছরের পুজো মণ্ডপ। ফাইবারের তৈরি টানেলের মধ্যে দিয়ে মণ্ডপে প্রবেশ করতে হবে দর্শনার্থীদের। অ্যাকোয়ারিয়ামের ভিতরে তুলে ধরা হবে সমুদ্রের তলার দুনিয়া। যেখানে থাকবে প্লাস্টিক, ফাইবার, দেশলাই কাঠি, থার্মোকল দিয়ে তৈরি রঙিন মাছ, অক্টোপাস, তিমি মাছ, প্রবাল, জেলি ফিস। হংকংয়ের মূর্তির আদলে এ বছরের প্রতিমা তৈরি করেছেন শিল্পী অশোক ভট্টাচার্য। পুজোর ঠাকুর দেখার ফাঁকেই কেউ যদি চান সমুদ্র দেখতে, তা হলে আসতেই হবে আমাদের এই পুজোর ঠিকানায়।

দর্জিপাড়া সর্বজনীন

এখন তো প্রতি পদে পদে তীব্র প্রতিযোগিতা। সেই প্রতিযোগিতাই মানুষকে এক ধাপ থেকে আর এক ধাপে এগিয়ে নিয়ে যায়। এই ভাবনা থেকে আমাদের ৮৫তম বর্ষের থিম ‘সাফল্য’। সাফল্যের শিখরে পৌঁছনোর জন্য জীবনভর যে লড়াই, তাকেই তুলে ধরা হয়েছে মণ্ডপে। মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে প্লাই, বাঁশ, থার্মোকল, কাগজ দিয়ে। প্রতিমা সাবেক, শিল্পী কালাচাঁদ রুদ্র পাল। আমাদের পুজো উদ্বোধন করবে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুরা। তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে এককালীন ওষুধের খরচ। এ ছাড়া পথশিশুদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও থাকছে।

টেমার লেন

‘খোলামকুচির খেলাঘর’— এই ভাবনা নিয়েই আমাদের পুজো এ বার ১০১ বছরে পড়ল। পুজো বলতে এখনও আমাদের কাছে সেই সাবেক মাতৃমূর্তি। তাই শিল্পী বাদল পালের জাদুতে ফুটে উঠছে সনাতনী দুর্গার রূপ। শিল্পী অলোক বারিক মণ্ডপ সাজিয়ে তুলেছেন মাটির ভাঁড়ের টুকরো, উল্টোনো সরা, মালসা, পিলসুজ দান দিয়ে। থাকছে পোড়ামাটির ম্যুরালও। তবে আমাদের পুজোর মূল আমেজটা কিন্তু সান্ধ্যকালীন আড্ডা। পুজোর ক’টা দিন সকলে মিলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিজয়োৎসব— সব মিলিয়ে গোটা পাড়া হয়ে ওঠে এক মিলনমেলা।

ওয়েলিংটন নাগরিক কল্যাণ সমিতি

জীবনানন্দ দাশ কবিমানসে খুঁজেছিলেন বনলতাকে। আর ২৭তম বর্ষের আমাদের পুজোয় শিল্পী পার্থ জোয়ারদার বনলতা খুঁজেছেন প্রাচীনত্বের মধ্যে। মণ্ডপে ঢুকলে দর্শকেরা পৌঁছে যাবেন প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো, জরাজীর্ণ একটি বাড়িতে। সেখানে শিল্পীর চোখে ধ্বংসস্তূপের মাঝে প্রতিভাত হয়েছেন বনলতারূপী স্বয়ং দেবী দুর্গা। প্রতিমা তৈরি হচ্ছে পাথরের মূর্তির আদলে। মণ্ডপ সাজাতে ব্যবহার করা হয়েছে চুন, সুরকি, প্লাস্টার। এই পুজোয় আপনিও বনলতাকে খুঁজে নিতে আসছেন তো?

তালতলা সর্বজনীন

৭০তম বর্ষের পুজোয় শিবশক্তি রূপে মা ধরা দেবেন আমাদের আঙিনায়। পুজোমণ্ডপ তৈরি হচ্ছে পুরনো মন্দিরের আদলে। পেপার ম্যাশ দিয়ে সাজানো হয়েছে মণ্ডপ। শিল্পী তাপস দাসের তৈরি প্রতিমা সাবেক ধাঁচে। মণ্ডপের ভিতরে থাকবে ঘণ্টা, প্রদীপ দিয়ে কারুকাজ। প্রতি সন্ধ্যায় সকলের জন্য ভোগ বিতরণ তো থাকছেই।

নোনাপুকুর লোহাপট্টি

৬৬তম বছরে আমাদের প্রেরণা ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচি। থিমের নাম ‘জান-বাহন’। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির নানা বাতিল অংশ দিয়ে তৈরি করা হবে প্রজাপতি, ঝাড়বাতি, যোদ্ধার মূর্তি। শিল্পী মিন্টু পাল ফাইবার গ্লাসের প্রতিমা তৈরি করছেন। চিরাচরিত রূপের প্রতিমা থাকছে গাড়ি দিয়ে তৈরি একটি বেদীর উপরে। চারপাশও সাজবে গাড়ির অংশ দিয়ে। গাড়ির আওয়াজ ও নানা বাদ্যযন্ত্রের মিশেলে শোনা যাবে আমাদের আবহসঙ্গীত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement