চোডুপ লেপচা। —নিজস্ব চিত্র।
পার্ক সার্কাসে এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর পর আত্মঘাতী পুলিশকর্মী চোডুপ লেপচার পরিবার দাবি করল, তিনি সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিলেন। তিনি কাজে যোগ দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই কী কারণে এমন কাণ্ড ঘটালেন চোডুপ, তা এখনও বোধগম্য হচ্ছে না তাঁর নিকটাত্মীয়দের।
শুক্রবার ভরদুপুরে পার্ক সার্কাসের ১৩ নম্বর লোয়ার রেঞ্জ রোড এলাকায় চোডুপের স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের গুলিতে নিহত হয়েছেন রিমা সিংহ (২৬) নামে হাওড়ার দাশনগরের এক যুবতী। আহত হয়েছেন মহম্মদ সরফরাজ এবং বশির আলম নামে দু’জন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে এলোপাথাড়ি গুলিচালনার পর নিজেরই স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের গুলিতে আত্মঘাতী হন চোডুপ। কলকাতা পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর পঞ্চম ব্যাটালিয়নের ওই কর্মীর মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এক পুলিশকর্তা। ঘটনার পর কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেছেন, ‘‘চোডুপ লেপচা সম্ভবত মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সে কারণেই তিনি এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হলেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।’’
তবে পুলিশকর্তার এই মন্তব্যের সঙ্গে সহমত নন চোডুপের পরিবার। কালিম্পঙের ঝালংয়ের টাকনা গুম্বা লোলের বাসিন্দা ছিলেন চোডুপ। টেলিভিশনে এই খবর শুনে হতবাক তাঁর পরিবার-পরিজনেরা। চোডুপের জামাইবাবু ছয়গাল লেপচা বলেন, ‘‘দু’দিন আগেই ডিউটি জয়েন করেছিল ও। কিন্তু কেন এমন করল, তা আমরাও বুঝতে পারছি না।’’
পার্ক সার্কাসে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের আউটপোস্টে নিরাপত্তারক্ষীর হিসাবে কর্মরত ছিলেন চোডুপ। দুপুরের ঘটনার খবর পেয়ে চোডুপের পরিবারে আতঙ্ক ছাড়াও শোকের ছায়া নেমেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘ দিন আগেই চোডুপের মা-বাবা মারা গিয়েছেন। দাদা-বৌদির সঙ্গে থাকতেন তিনি। ছয়গালের দাবি, ‘‘মানসিক অবসাদ হওয়ার মতো কোনও কারণ তো দেখছি না। চোডুপ সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করত। তাই এ ঘটনায় আমরাও বাক্রুদ্ধ। কলকাতায় যাচ্ছি। সেখানে গেলে হয়তো কিছু জানতে পারব।’’