—প্রতীকী চিত্র।
চলতি বছরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ২০০-র গণ্ডি পেরোল। দৈনিক গড়ে ১০ জন করে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসছে। যা চিন্তা বাড়াচ্ছে দক্ষিণ দমদম পুরসভার। তার মধ্যে ২১ এবং ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হচ্ছিল। তবে বুধবার সেই রেখচিত্র কিছুটা নিম্নগামী হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।
২১ এবং ৩১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় এর আগে ঝোপজঙ্গলে, শিশু উদ্যানে খেলার সরঞ্জামে জমা বৃষ্টির জলে মশার লার্ভার সন্ধান মিলেছে। যদিও সেখাকার পুরপ্রতিনিধিরা দাবি করেছিলেন, এলাকা নিয়মিত সাফ করা হয়। এক পুরকর্তা জানান, ওই দু’টি ওয়ার্ড-সহ যে সব এলাকা থেকে ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর বেশি আসছে, সে সব জায়গায় জমা জল সরানো, এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখা, ব্লিচিং ছড়ানো, মশার ওষুধ স্প্রে করার উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, ‘‘বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ছে। ফলে ফাঁকা বা ব্যবহৃত জমি, নিচু এলাকায় জল জমছে। প্রশাসনিক তৎপরতা বাড়লেও এলাকায় জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটছেই।’’
দক্ষিণ দমদম পুরসভা সূত্রের খবর, পুর হাসপাতালে বর্তমানে ১৫ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন। পুর এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা কম-বেশি ২০০। পুরসভা সূত্রের খবর, ব্যবহৃত জমি, গুদাম, কারখানা পরিচ্ছন্ন রাখার আবেদন জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নোটিস পাঠাচ্ছে পুরসভা। তবে তাতে অনেকে সাড়া দিলেও একাংশের এখনও হুঁশ ফেরেনি বলে অভিযোগ। পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস বলেন, ‘‘দু’টি ওয়ার্ডে সংক্রমণ বেড়েছিল। বর্তমানে কিছুটা কমেছে। তবে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমবেশি একই আছে। সেটাই কমিয়ে আনা এখন লক্ষ্য। প্রতিটি ওয়ার্ডেই মশা নিয়ন্ত্রণের কাজে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশেষত যে সব জায়গায় সংক্রমণ বেশি, সেখানে নিয়মিত নজরদারি এবং মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ করা হচ্ছে।’’