বাড়ছে আরজি করের নিরাপত্তা। ছবি: পিটিআই।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে নিরাপত্তা জোরদার করতে একটি বিশেষ বাহিনী গঠন করলেন নতুন অধ্যক্ষ। এই বাহিনীই হাসপাতালের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখে ঠিক করবে, নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য কী কী পদক্ষেপ করতে হবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। তাঁরা যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তা কার্যকর করার জন্য ইতিমধ্যেই ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে। এ ছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের জন্যও পাঁচ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।
আরজি করের আন্দোলনরত চিকিৎসকদের ছ’দফা দাবির একটি ছিল, পড়ুয়াদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। জুনিয়র মহিলা চিকিৎসকের সঙ্গে হাসপাতালের মধ্যেই যে ‘ভয়াবহ’ ঘটনা ঘটেছে, তা যেন আর কারও সঙ্গে না ঘটে। গত রবিবার ওই দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারী ছাত্রেরা। তার পরে মঙ্গলবার সকালে আরজি করের নতুন অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব নেন সুহৃতা পাল। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কলেজ এবং হাসপাতালের নিরাপত্তা বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
মঙ্গলবার সুহৃতা একটি বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করেন আরজি করের জন্য। ওই বাহিনীর সদস্য হিসাবে থাকছেন পুলিশ থেকে শুরু করে পূর্ত বিভাগ এবং হাসপাতালের প্রতিনিধিও। এর মধ্যে পুলিশের যিনি প্রতিনিধি থাকবেন, তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন হাসপাতালের কোন কোন জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানো জরুরি। এ ছাড়া হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য আর কী কী দরকার, সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেবে ওই বাহিনী। আরজি করের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ওই বাহিনী গঠনের পরেই ওই মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে স্বাস্থ্য ভবন। পরে রাজ্যের অন্য মেডিক্যাল কলেজগুলির নিরাপত্তার জন্যও আরও ৫ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দের ঘোষণা করা হয়।
মঙ্গলবার আরজি করের নতুন অধ্যক্ষ সুহৃতা আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলে তাঁদের দাবি জানতে চেয়েছেন। আন্দোলনকারীরা তাঁকে জানান, তাঁরা যে ছ’দফা দাবির কথা প্রথম থেকে বলে আসছেন, সেই দাবিতেই তাঁরা অনড়। তবে যে হেতু ওই দাবি লিখিত ভাবে নতুন অধ্যক্ষের কাছে জমা পড়েনি, তাই তিনি আন্দোলনকারীদের দাবির একটি খসড়া তাঁকেও দিতে বলেছেন।