প্রতীকী ছবি।
বাড়ির সামনেই মায়ের সঙ্গে খেলছিল দেড় বছরের শিশুটি। ঘরের ভিতরে প্রেশার কুকারে চাপানো রান্না হয়ে গিয়েছে টের পেয়ে ছেলেকে সেখানে রেখেই ঘরে গিয়েছিলেন মা। খানিক বাদে ফিরে এসে তিনি দেখেন, ছেলে নেই সেখানে। মঙ্গলবার বেলার দিকের ওই ঘটনার পরে বাড়ির আশপাশে শিশুটিকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরিবারের সদস্যেরা। কিন্তু পুলিশও তাকে খুঁজে পায়নি। অবশেষে শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে একটি খাল থেকে শিশুটির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের ধারণা, বাড়ির কাছ দিয়ে বয়ে যাওয়া ওই খালে পড়েই মৃত্যু হয়েছে শিশুটির। স্রোতের টানে দেহ ভেসে গিয়েছে অতটা দূরে।
পুলিশ জানায়, মৃত শিশুটির নাম অয়ন মল্লিক। তার বাড়ি তিলজলা থানা এলাকার জি জে খান রোডে। গত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ নিজেদের বাড়ির সামনে থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় সে। তার পরে এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ তার দেহ উদ্ধার হয় আনন্দপুর থানা এলাকার ভোজতলা পাকা ব্রিজের খাল থেকে। স্থানীয় বাসিন্দারাই দেহটি জলে ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে।
তদন্তকারীরা জানান, অয়নদের আসল বাড়ি মজদুরপাড়া বস্তিতে। তবে জি জে খান রোডেও একটি ঘর রয়েছে তাদের। শিশুটির বাবা মোটবাহকের কাজ করেন। পুলিশকে অয়নের মা জানান, তাঁর সঙ্গেই খেলছিল সে। ঘরে বসানো প্রেশার কুকারের আওয়াজ শুনে তিনি ভিতরে যান। ফিরে এসে দেখেন, অয়ন সেখানে নেই।
পুলিশ জানিয়েছে, খবর পেয়েই তারা দমকল বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। চলে আসে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। কারণ, শিশুটির মায়ের আশঙ্কা ছিল, সে হয়তো পাশের খালে পড়ে গিয়েছে। কিন্তু বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে খালে তল্লাশি চালিয়েও কিছু মেলেনি গত দু’দিনে।
তদন্তকারীরা জানান, ওই পরিবারের তরফে শিশুটির নিখোঁজ হওয়া বা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি এখনও। অয়নের দেহের ময়না তদন্ত করা হয়েছে। তাতে প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে তার।