Coronavirus

ইদেও মন্দা খাসির মাংসের বাজারে

ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, কেজিপ্রতি এখন খাসির মাংসের দাম ৮০০-৮৫০ টাকা।

Advertisement

কৌশিক ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২০ ০৩:০৫
Share:

প্রতীকী ছবি

আজ, সোমবার ইদ। অন্য বছর এই উৎসব উপলক্ষে তুঙ্গে ওঠে খাসির মাংসের বাজার। কিন্তু এখন লকডাউন চলায় সেই বাজারেও মন্দা। ব্যবসায় ভাটা পড়েছে শহরে ছাগলের পাইকারি বাজারগুলিতে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, চাহিদার তুলনায় ছাগলের জোগান কম হওয়ায় এই সমস্যা। রাজ্য সরকারের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের এক আধিকারিক জানান, বিভিন্ন রাজ্য থেকে শহরে যত ছাগল সরবরাহ হয়, লকডাউনে তা অনেক কমে গিয়েছে। তার প্রভাব পড়েছে মাংসের জোগানে।

Advertisement

ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, কেজিপ্রতি এখন খাসির মাংসের দাম ৮০০-৮৫০ টাকা। শহরের পাইকারি বাজারের বিক্রেতারা ছাগল কিনে আনেন মূলত বিহার এবং উত্তর প্রদেশের হাট থেকে। সেগুলি বিক্রি হয় রাজাবাজারের খালধারে ছাগলপট্টি এবং খিদিরপুরে ছাগলের পাইকারি বাজারে। সেখান থেকে তা কিনে আনেন খুচরো ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে মূলত ট্রাকে এবং কিছু ক্ষেত্রে মালবাহী ট্রেনে ছাগল নিয়ে আসা হয়। এই মুহূর্তে লকডাউনে প্রায় সব জায়গায় হাট বন্ধ। ট্রাকও চলছে কম। ফলে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে মাংসের সরবরাহে।

রাজাবাজারের ছাগলপট্টির এক পাইকারি বিক্রেতা মহম্মদ গিলানি বলেন, ‘‘এই বাজার থেকে শহর এবং আশপাশের জেলায় প্রায় ১০ হাজার ছাগল সরবরাহ হয়। এখন সেখানে রোজ বড়জোর ২০০ ছাগল বিক্রি হচ্ছে।’’ তিনি জানালেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও খাসির মাংসের চাহিদা থাকে। সে সব বন্ধ থাকায় অর্ডারও কমেছে।

Advertisement

একই অবস্থা খিদিরপুরের বাজারেও। সেখানকার অনেক ব্যবসায়ীই জানিয়েছেন, মন্দা থাকায় অনেকেই ছাগল আনছেন না। কারণ একটি ছাগলকে খাওয়ানো এবং দেখাশোনা করার জন্য আলাদা লোক রাখতে হয়। লকডাউনে তাঁরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

ব্যবসায়ীরা জানান, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বাজারগুলিতে যাতে জমায়েত না-হয়, তাঁরা সেই ব্যাপারেও সচেষ্ট। সে দিকে লক্ষ রাখতে গিয়েও ক্রেতার সংখ্যা কমছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement