প্রতীকী ছবি।
গাফিলতির দায়ে কিশোর ভারতী স্কুলের পাঁচ শিক্ষককে সাসপেন্ড করেছিল পরিচালন সমিতি। সোমবার, সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এমনকী, স্কুলকে ৯০ দিনের মধ্যে বিভাগীয় কমিটি গঠন করে তদন্ত শেষ করার নির্দেশও দিল পর্ষদ।
স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, গত ৭ অক্টোবর কিছু ছাত্রকে নিয়ে হিঙ্গলগঞ্জে শ্যুটিংয়ে গিয়েছিলেন ওই স্কুলের পাঁচ শিক্ষক। সেখানেই জলে ডুবে মৃত্যু হয় ওই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র রাজর্ষি দাসের। তার পরেই স্কুল এবং ওই শিক্ষদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দ্বারস্থ হয় রাজর্ষির পরিবার। শুনানিতে প্রাথমিক ভাবে দেখা যায়, ওই শিক্ষকদেরই গাফিলতি আছে। এর পরে গত সপ্তাহে পরিচালন সমিতি ওই পাঁচ সিদ্ধান্ত নেয়। এ দিন সেই সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত করল পর্ষদ।
দফতরের এক কর্তা জানান, ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন ১৯৬৩–এর (সংশোধনী ২০০৫) এস ১৮ ধারা অনুযায়ী ওই শিক্ষকদের সাসপেন্ড করা হল। তিনি জানান, ওই ধারায় বলা আছে কোনও শিক্ষক যদি পড়ুয়াকে কোথাও নিয়ে যান, তবে অভিভাবকের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার আগে পর্যন্ত পড়ুয়ার নিরাপত্তার সব দায়িত্ব শিক্ষকেরই। কিন্তু রাজর্ষির ক্ষেত্রে তা হয়নি। ফলে আইন অনুযায়ী পরিচালন সমিতি ও পর্ষদ তাঁদের সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ওই কর্তা জানান, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই শিক্ষকদের বেতনের ৫০ শতাংশ টাকা দেওয়া হবে। তবে শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে স্কুলের যে সমস্যা হতে পারে, সে বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ পর্ষদকে জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।