—প্রতীকী চিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর নেপথ্যে র্যাগিংয়ের ভূমিকা ছিল। মনে করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীন তদন্ত কমিটি। এর আগে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের তদন্তকারী দলও জানিয়েছিল, তারা যাদবপুরে গত ৯ অগস্ট রাতে র্যাগিংয়ের ‘প্রমাণ’ পেয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই অভ্যন্তরীন কমিটির রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে। তাতে বলা হয়েছে, ছাত্রমৃত্যুর নেপথ্যে র্যাগিংয়েরও ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রশাসনিক ব্যর্থতা লক্ষ করা গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে। তবে এ সবের পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীন তদন্তে স্পষ্ট নয়, ৯ অগস্ট রাতে কী ভাবে হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে গিয়েছিলেন বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্র। যার পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, রিপোর্টে বলা হয়েছে, কী ভাবে ওই ছাত্র পড়ে গিয়েছিলেন তা জানা যায়নি। তবে র্যাগিংয়ের ঘটনায় যাঁদের অভিযুক্ত বলে মনে হয়েছে অভ্যন্তরীন কমিটির তাঁদের অনেকেই এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে রিপোর্টে। অর্থাৎ গত ১৬ দিনে যাদবপুরের ঘটনায় যে ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, তাঁদের মধ্যে অনেকেই দোষী বলে উল্লেখ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীন কমিটির তদন্তকারীরাও।
৯ অগস্ট রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের এ২ ব্লকের তিন তলার বারান্দা থেকে পড়ে গিয়েছিলেন বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্র। সেদিন রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে মেন হস্টেলের নীচের রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল ওই ছাত্রকে। তাঁর শরীরে কোনও পোশাক ছিল না।
এর পরে বৃহস্পতিবার হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। ছাত্রের বাবা-মা র্যাগিংয়ের অভিযোগ করেন। এফআইআরে হস্টেল আঁকড়ে পড়ে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের নামেও অভিযোগ করেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই যাদবপুরের ঘটনায় শুরু হয় পুলিশের তদন্ত। প্রশ্ন ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাগিং বিরোধী ব্যবস্থার অপ্রতুলতা নিয়েও। এর পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে র্যাগিংয়ের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তৈরি হয় অভ্যন্তরীন কমিটি। শুক্রবার যার রিপোর্ট উপাচার্যের কাছে জমা পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর।