প্রতীকী ছবি।
গুরুতর জখম অবস্থায় রেললাইনের ধার থেকে গত বৃহস্পতিবার অজ্ঞাতপরিচয় এক বালককে উদ্ধার করেছিল রেল পুলিশ। রবিবার এসএসকেএমে তার মৃত্যু হয়। তার পরেই জানা যায়, গত বুধবার থেকে নিখোঁজ ছিল সে। পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত বালকের নাম অঙ্কুর দাস ওরফে ছোট্টু (১১)। বাড়ি শ্যামপুকুর থানা এলাকার অভয় দাস লেনে। লালবাজার থেকে খবর পেয়ে সোমবার বালকটিকে শনাক্ত করেন তার পরিবারের সদস্যরা।
রেল পুলিশ সূত্রের খবর, চক্ররেলের খিদিরপুর এবং প্রিন্সেপ ঘাট স্টেশনের মাঝে দইঘাটের কাছে ওই বালকটিকে আহত ও অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে রেল পুলিশ। রেল পুলিশের দাবি, সম্ভবত চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েছিল সে। তার পরিচয় জানতে শুক্রবার প্রথমে সব থানায় মেসেজ ও পরে মিসিং পোর্টালের সাহায্য নেওয়া হয়। তার পরেই জানা যায়, শ্যামপুকুর থানা এলাকার এক বালক নিখোঁজ। সেই সূত্রে রেল পুলিশ শ্যামপুকুর থানা ও লালবাজারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তার পরেই বালকের মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে লালবাজার।
লালবাজার সূত্রের খবর, অঙ্কুরের বাবা নেই। মা ঝুমাদেবী আয়ার কাজ করেন। এক দাদা আশ্রমে থেকে পড়াশোনা করে। অঙ্কুর আগেও একাধিক বার বাড়ি, এমনকি হোম থেকেও পালিয়েছিল বলে জেনেছে পুলিশ। শনিবার ওই বালকের নিখোঁজ ডায়েরি হওয়ার পরে মামলা রুজু করে থানা। তবে তার আগেই তাকে উদ্ধার করে রেল পুলিশ। তা সত্ত্বেও কেন পরিচয় জানতে দেরি হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ দায়ের করার পরে তদন্তকারী অফিসার ছুটিতে চলে যাওয়ায় তদন্তের কাজ ব্যাহত হয়েছে বলে অভিযোগ বালকটির পরিবারের। যদিও লালবাজারের দাবি, গুরুত্ব দিয়েই তদন্তের কাজ চলছিল। রেল পুলিশের দাবি, পরিচয় জানতে নিয়মানুযায়ী সব কিছুই করা হয়েছে। আর সেই সূত্রেই বালকটির পরিচয় মিলেছে।