প্রতীকী ছবি।
শীতের মরসুম পড়তেই ক্রমশ ভিড় বাড়ছে ইকো পার্কে। কচিকাঁচাদের নিয়ে ভিড় করছেন বাবা-মায়েরা। কিন্তু শিশুসন্তানকে খাওয়ানোর জন্য নির্দিষ্ট কোনও ঘরের ব্যবস্থা নেই সেখানে। বিষয়টি নিয়ে প্রায়ই সমস্যায় পড়েন মায়েরা। এই সমস্যার কথা তাঁরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন আগেই। এ বার তার সমাধানে ইকো পার্কে মা এবং সন্তানের জন্য বিশেষ ঘরের ব্যবস্থা করতে চলেছেন কর্তৃপক্ষ।
সোমবার হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন জানান, ইকো পার্কে মায়েদের জন্য আলাদা কোনও ঘরের ব্যবস্থা এত দিন ছিল না। তাতে শিশুদের খাওয়ানোর সময়ে তাঁদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাই ব্যবস্থা করা হচ্ছে বিশেষ একটি ঘরের। সেখানে আনুষঙ্গিক যাবতীয় পরিকাঠামো তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দর, ভারতীয় জাদুঘরে এমন বিশেষ ঘর রয়েছে। তবে ইকো পার্কের মতো জনসমাগম ঘটে, শহরের তেমন বহু জায়গাতেই এখনও মা ও শিশুদের জন্য বিশেষ ঘরের ব্যবস্থা নেই।
আগরপাড়ার বাসিন্দা, রীতা সেন জানান, বছরখানেক আগে শিশুসন্তানকে নিয়ে তিনি ইকো পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে ছেলেকে মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানোর আলাদা কোনও জায়গা না থাকায় সমস্যায় পড়েন তিনি। তবে কর্তৃপক্ষকে জানাতে তাঁরা কর্মীদের জন্য রাখা একটি ঘর ছেড়ে দিয়েছিলেন। হিডকো সূত্রের খবর, কেউ এই সমস্যার কথা জানালে আধিকারিক কিংবা কর্মীদের কোনও ঘর মায়েদের জন্য খুলে দেওয়া হত এত দিন। তবে সেটি স্থায়ী কোনও ব্যবস্থা নয়। হিডকো সূত্রের খবর, এ বার ইকো পার্কের ২ এবং ৩ নম্বর গেটের মাঝে একটি ঘর চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে মা এবং সন্তানের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে।
নিউ টাউনের বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, বেশি জনসমাগম ঘটে এমন বিভিন্ন জায়গাতেই এই ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। যেমন, আলিপুর চিড়িয়াখানায় সারা বছরই ভিড় হয়। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সেখানে মাতৃদুগ্ধ পান করানোর জন্য আগে একটি ব্যবস্থা ছিল। তবে তা যথেষ্ট নয়। শীতের মরসুমে ভিড় আরও বাড়বে। তাই সেই কথা মাথায় রেখে মা এবং সন্তানের জন্য আলাদা একটি ব্যবস্থা করা হবে। সল্টলেকের একটি বেসরকারি বিনোদন পার্ক কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, আলাদা ব্যবস্থা না থাকলেও পার্কে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য একটি ঘর রয়েছে। কেউ চাইলে সেখানে খাওয়ানোর জন্য একটি জায়গা ছেড়ে দেওয়া হয়।