কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তাঁর পরিজনেরা। মঙ্গলবার সকালে, সন্তোষপুরে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
ভাইয়ের শেষকৃত্যের পরে বুধবার শ্বশুরবাড়ি গেলেন সদ্য বিবাহিতা দিদি।
মঙ্গলবার গভীর রাতে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় লরির ধাক্কায় মৃত তরুণ বাপন পুরকায়েতের (২১)। আগের দিন, সোমবার বাপনের দিদি রিঙ্কি প্রামাণিকের বিয়ে হয়েছে। পরদিন সোনারপুরে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথা ছিল সার্ভে পার্ক থানা এলাকার সন্তোষপুরের ইস্ট রাজাপুরের বাসিন্দা রিঙ্কির। এ দিকে, সোমবার গভীর রাতে দিদির বিয়ে শেষে বন্ধুদের সঙ্গে মোটরবাইক নিয়ে বেরিয়েছিলেন বাপন। পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁর। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার অনেক রাতে বাপনের শেষকৃত্য হলে বুধবার ভোরে শ্বশুরবাড়ি রওনা হয় দিদি। আজ, বৃহস্পতিবার ভাইয়ের শ্রাদ্ধের জন্য ফের বাড়ি আসার কথা রিঙ্কির।
পুলিশ সূত্রের খবর, যে লরিটি বাপনের মোটরবাইকে ধাক্কা মেরেছিল, এই রাত পর্যন্ত সেটির খোঁজ পাননি তদন্তকারীরা। তবে সেটির খোঁজে তল্লাশি চলছে। পুলিশ জেনেছে, মঙ্গলবার ভোর চারটে নাগাদ চারটি মোটরবাইক নিয়ে বেরিয়েছিলেন বাপন ও তাঁর সাত বন্ধু। প্রথমে তাঁরা সার্ভে পার্ক থানা সংলগ্ন এলাকায় মোটরবাইক নিয়ে ঘোরে। এর পরে সুলেখা মোড়ের দিকে যাওয়ার সময়ে সন্তোষপুর অ্যাভিনিউয়ে লেক ইস্ট রোডের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বাপনের মোটরবাইকটি। পুলিশ জেনেছে, ওই মোটরবাইকে একাই ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
মৃত তরুণের বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদের পরে তদন্তকারীদের দাবি, প্রতি রাতেই বেপরোয়া গতিতে ওই এলাকায় মোটরবাইক চালাত ওই তরুণদের দলটি। দুর্ঘটনার সময়ে সংঘর্ষের মুহূর্তে বাপনের মোটরবাইকের পিছনে তাঁর আর এক বন্ধুর মোটরবাইক ছিল। বাকি দু’টি বাইক এগিয়ে গিয়েছিল। তদন্তকারীদের দাবি, লরির ধাক্কায় বাপন ছিটকে পড়তেই পিছনের বাইকটি থেকে নেমে দুই বন্ধু তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা করলেও শেষরক্ষা হয়নি।