আগুন নেভানোর কাজে সাহায্য করা এক ব্যক্তি বলেন, ‘‘কারখানা, গুদামের পর সামনে থাকা বাড়িগুলিতেও আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে পড়ে। আমরা প্রতিবেশীরা বালতি করে জল এনে আগুন দমানোর চেষ্টা করি। পরে দমকল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’’
রবিবার ট্যাংরার অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত কারখানা। —নিজস্ব চিত্র।
আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে এল ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডের কারখানায়। রবিবার দুপুরে সেখানে আগুন লাগে। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। তার পর ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু জানান, ‘‘দমকল লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ১০টি ইঞ্জিন পাঠানো হয়েছে। আরও কয়েকটি ইঞ্জিন রাস্তায় রয়েছে। এলাকাটি ঘিঞ্জি হওয়ায় কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। আশা করি, আর কিছু ক্ষণের মধ্যে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসবে।’’ অন্য দিকে, এর আগেও ওই জায়গায় আগুন লেগেছিল। ফের এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয় মানুষদের একাংশ ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন।
স্থানীয় এক মহিলা বলেন, ‘‘দুপুরে খেতে বসেছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। বেরিয়ে দেখি, আগুন লেগেছে। বাচ্চাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাই। এ নিয়ে এখানে দু'-তিন বার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। জানি না আর কত দিন এ ভাবে ভয়ে ভয়ে থাকতে হবে।’’ আরেক জন জানান, প্রথমে একটি গাড়ির কারখানায় আগুন লাগে। ওই কারখানাটিতে গাড়ি সারাই হত। প্রচুর পরিমাণে পেট্রল-ডিযেলের মতো দাহ্য পদার্থ ছিল। ফলে নিমেষে আগুন ছড়িয়ে পাশের গুদামে।
আগুন নেভানোর কাজে সাহায্য করা এক ব্যক্তি বলেন, ‘‘কারখানা, গুদামের পর সামনে থাকা বাড়িগুলিতেও আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে পড়ে। আমরা প্রতিবেশীরা বালতি করে জল এনে আগুন দমানোর চেষ্টা করি। পরে দমকল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’’ স্থানীয় লোকজনের ক্ষোভ, এর আগের অগ্নিকাণ্ড থেকে প্রশাসনের শিক্ষা নেওয়া উচিত ছিল। কেন এখানে বার বার আগুন লাগছে, তা খতিয়ে দেখা হোক। দমকল আসতে এক ঘণ্টা দেরি করেছে। আর কিছুটা দেরি হলে আমরাও ক্ষতিগ্রস্ত হতাম।
ট্যাংরার ওই এলাকাটিতে বেশ কয়েকটি কারখানা রয়েছে। এবং এলাকাটি খুবই ঘিঞ্জি। প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘কারখানাগুলি অনেক পুরনো। এক সময়ে এত জনবসতি ছিল না। এখন এমন অবস্থা যে, একটি বাড়ির সঙ্গে অন্যটি লেগে রয়েছে। ফলে পরিস্থিতির বদল না ঘটলে আগামী দিনে আরও বড় ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।’’