Universities

পরীক্ষা চলাকালীন ভর্তির সিদ্ধান্তে বাড়ছে জটিলতা

কলেজের স্নাতকোত্তর স্তরে পড়ছেন, এমন অনেককেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে ডেকে এখন ভর্তি করিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৭:২৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

স্নাতকোত্তর স্তরে প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষা চলাকালীন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন করে ভর্তি নেওয়া চলছে। যার জেরে জটিলতা বাড়ছে।

Advertisement

কলেজের স্নাতকোত্তর স্তরে পড়ছেন, এমন অনেককেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে ডেকে এখন ভর্তি করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বেথুন কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান সুমিতা মুখোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার জানান, এ দিন প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষার দু’ঘণ্টা আগে তাঁর বিভাগের এক ছাত্রী জানান, তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। পরীক্ষা ওখানেই দেবেন। সুমিতাদেবী বলেন, ‘‘ওর অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন আমরা করেছি। এ বার পরীক্ষা দেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে। এমনটা কোথাও ঘটেনি!’’

মৌলানা আজাদ কলেজের অধ্যক্ষ শুভাশিস দত্ত জানান, সেখানে ইংরেজি, উর্দু ও প্রাণীবিদ্যা স্নাতকোত্তর স্তরে পড়ানো হয়। পরীক্ষার মধ্যেই জানতে পেরেছেন, ছাত্রছাত্রীদের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগে ভর্তির জন্য ডাকা হয়েছে। কয়েক জন অধ্যক্ষের প্রশ্ন, তাঁদের কলেজে আসন পূরণ কী ভাবে হবে?

Advertisement

এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু বিভাগের প্রধানদের নিয়ে সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) আশিস চট্টোপাধ্যায় বৈঠক করেন। সেখানে ‘অকুপাই সিইউ’র সদস্যদেরও ডাকা হয়। তাঁদের তরফে প্রিয়ম বসু জানান, নিজেদের বক্তব্য উপস্থিত বিভাগীয় প্রধানদের তাঁরা জানিয়েছেন। তবে সূত্রের খবর, এক বিভাগীয় প্রধান ভর্তি হতে আসা এক পড়ুয়াকে জানান, তাঁদের বিভাগে দু’টি পত্রের পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। তাতেও সেই পড়ুয়া ভর্তি হতে রাজি। কয়েক জন বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে ওই পড়ুয়ারা যে ভাবে কথা বলেছেন, তাতে তাঁরা কিছুটা ক্ষুব্ধ বলে খবর। ভর্তির দাবিতে বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে ভর্তি-প্রার্থীদের কথা বলিয়ে দেওয়াটাও নজিরবিহীন ঘটনা।

সূত্রের খবর, বৈঠকে বলা হয়েছে, প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষায় কারা বসছেন না, সেই তালিকা করতে হবে। শিক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, ইউজিসি-র বর্তমান নিয়ম অনুসারে, মোট যত বছরের পাঠ্যক্রম, তার সঙ্গে আরও দু’বছর সময় এক জন পরীক্ষার্থীকে পাঠ্যক্রম শেষ করার জন্য দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে কেউ একটি সিমেস্টারের পরীক্ষা না দিলে পড়ুয়া হিসাবে তাঁকে বাতিল বলে গণ্য করা যায় না। সেই সঙ্গে পরীক্ষা যখন প্রায় শেষের মুখে, তখন আবার ভর্তির তালিকা প্রকাশ কোন নিয়মে হতে পারে, তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে ফোন ও মেসেজ করেও সহ-উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। এ দিন ‘কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি’র (কুটা) সাধারণ সম্পাদক সাংখ্যায়ন চৌধুরী এক বিবৃতিতে জানান, পরীক্ষা শুরুর পরেও নতুন করে ভর্তি নেওয়া প্রশাসনের চূড়ান্ত অদক্ষতা ও সিদ্ধান্তহীনতার পরিণাম। এই ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ও সুনামের পরিপন্থী। কুটা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement