প্রতীকী ছবি।
ধর্ষণের অভিযোগ আনা মূক ও বধির তরুণীর অবশেষে শারীরিক পরীক্ষা হল। বৃহস্পতিবার শহরের এক সরকারি হাসপাতালে সেই পরীক্ষা হয়েছে। তবে অভিযোগকারিণীর পরিচয় গোপন রাখতে হাসপাতালের নাম জানায়নি পুলিশ। তারা জানিয়েছে, পরীক্ষা হলেও প্রাথমিক রিপোর্ট মেলেনি। ওই রিপোর্ট আদালতে দেওয়া হবে। আজ, শুক্রবার ধৃত চার জনকে কোর্টে তোলার কথা।
ওই তরুণী গত ২ জুলাই এন্টালি থানায় অভিযোগ জানাতে যান। কিন্তু অভিযোগ, কোনও ইন্টারপ্রিটারের ব্যবস্থা না করেই পুলিশ ৫০৯ ধারায় নিগ্রহের মামলা লিখে নেয়। এর সাড়ে চার মাসেরও বেশি সময় পরে গত সোমবার তরুণীর গোপন জবানবন্দির ব্যবস্থা করে পুলিশ। সেখানেই তরুণী দাবি করেন, নিগ্রহ নয়, তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তড়িঘড়ি ৩৭৬ ধারায় ধর্ষণের মামলা রুজু করে পুলিশ। সোমবারই চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার তাদের শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে আজ, শুক্রবার পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত দিয়েছিলেন বিচারক।
মূক-বধির কাউকে আদালতে গিয়ে কেন অভিযোগ জানাতে হবে, সেই প্রশ্ন উঠেছিল। থানায় যাওয়ার এত মাস পরেও তরুণীর শারীরিক পরীক্ষা কেন হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তার পরেই তড়িঘড়ি পরীক্ষার ব্যবস্থা হয়।