—প্রতীকী চিত্র।
বেলার দিকে বাড়ির সামনের উঠোনে খেলতে দেখা গিয়েছিল তাকে। যদিও কিছু ক্ষণ পর থেকে খোঁজ মিলছিল না। পরিবারের লোকজন এ দিক-ও দিক খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এর মধ্যেই বাড়ির পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার হল বছর তিনেকের শিশুটির দেহ। সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বাঁশদ্রোণী থানা এলাকার রায়নগরের মধ্যপাড়ায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত শিশুটির নাম অনীশ সাহা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্যপাড়াতেই বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত অনীশ। বাবা পেশায় গাড়িচালক। মা গৃহবধূ। বাড়ির পাশেই রয়েছে পুকুর। সেখানেই ভাসতে দেখা যায় অনীশকে। স্থানীয়েরা তাকে উদ্ধার করে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক অনীশকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রোজই বাড়ির উঠোনে খেলত অনীশ। এ দিনও বেলা ১১টা নাগাদ খেলছিল সে। মা কোনও কাজ সারতে ছেলেকে উঠোনে রেখে ভিতরে যান। ফিরে এসে অনীশকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তিনি। প্রথমে প্রতিবেশীদের বাড়িতে খোঁজ শুরু হয়। তাঁদের কারও বাড়িতে অনীশকে না পেয়ে দ্রুত পুলিশে খবর দেওয়া হয়। যদিও পুলিশ আসার আগেই পুকুরে দেহটি ভাসতে দেখেন প্রতিবেশীরা। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘ওর খোঁজে প্রথমেই এক বার জলে নামা হয়েছিল। কিন্তু কিছু পাওয়া যায়নি। পরে দেহটি ভাসতে দেখা যায়।’’
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শিশুটির দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি বলেই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, খেলতে খেলতে জলে পড়ে গিয়েই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ জানতে দেহের ময়না তদন্ত করা হবে বলে জানা গিয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।