বাগজোলা খাল। ফাইল চিত্র।
নালার মাধ্যমে নিত্যদিন তরল দূষিত বর্জ্য বাগজোলা ও কেষ্টপুর খালে গিয়ে পড়ছে। যা ক্রমশ খালের জল দূষিত করছে। বছরের পর বছর ধরে চলা এই দূষণ কমাতে এবং তরল নিকাশি বর্জ্য পরিশোধনের জন্য নিকাশি পরিশোধন প্লান্ট (সুয়েজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট বা এসটিপি) তৈরির পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। খালের দূষণ সংক্রান্ত একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সেই পরিকল্পনা হলফনামার আকারে জাতীয় পরিবেশ আদালতে জমাও দিয়েছে রাজ্য। কিন্তু পরিকল্পনায় প্রস্তাবিত এসটিপি তৈরির জন্য রাজ্য উল্লিখিত সময়সীমা খারিজ করে দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ওই পরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক অনুমোদনের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, হলফনামায় প্রস্তাবিত এসটিপি তৈরির সময়সীমা ধার্য করা হয়েছিল ২০২৪ সালের মে মাস। কিন্তু পরিবেশ আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, খালের দূষণের পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকার উল্লিখিত প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা গ্রহণযোগ্য নয়। তাই এসটিপি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ২০২৩ সালের জুন মাস করতে হবে।
রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রের খবর, এই সংক্রান্ত বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট ইতিমধ্যেই রাজ্যের অর্থ দফতরের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে শুধু এসটিপি তৈরিই নয়, কেষ্টপুর, বাগজোলা, নিউ কাট, ভাঙড় কাটা খাল-সহ একাধিক খালের পলি নিষ্কাশনের বিষয়টিও উঠে এসেছে মামলায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে সেচ দফতর আবার জানিয়েছিল, ওই কাজের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদনের জন্য ফাইল অর্থ দফতরের কাছে পাঠানো হয়েছে।
গত সপ্তাহে সাম্প্রতিকতম হলফনামায় সেচ দফতর আদালতকে জানিয়েছে, আপার বাগজোলা খালের পলি নিষ্কাশন প্রকল্পের জন্য টাকা মঞ্জুর করেছে অর্থ দফতর। আর লোয়ার বাগজোলা, কেষ্টপুর, নিউ কাট ও ভাঙড় খালের পলি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ পেতে আবেদন করা হয়েছে।
যার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় পরিবেশ আদালত মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেয়, সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দের প্রক্রিয়া দ্রুত করতে তিনি যেন ব্যক্তিগত ভাবে উদ্যোগী হন এবং অর্থ দফতরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন।এই মামলায় আদালতবান্ধব হিসাবে নিযুক্ত সুভাষ দত্ত বলছেন, ‘‘এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট সময়সীমাও উল্লেখ করেছে আদালত। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে ওই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার কথা বলা হয়েছে।’’