Dev

দেবের ফ্ল্যাটে গানবাজনা হয়! আদালতে শান্তিভঙ্গের নালিশ প্রবীণ দম্পতির, সিদ্ধান্ত নেবে পুরসভা

মামলকারীর অভিযোগ, দেবকে এমন কোনও অনুমতি দেননি আবাসন কর্তৃপক্ষ। আদালত সরাসরি এতে হস্তক্ষেপ করেনি। এই সমস্যা নিয়ে প্রথমে সিঙ্গল বেঞ্চ মামলাকারীকে নগর দেওয়ানি আদালতে যেতে বলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৩ ২২:৩৪
Share:

দক্ষিণ কলকাতার একটি আবাসনের বাসিন্দা দেব ওরফে সাংসদ দীপক অধিকারীর প্রতিবেশী নিকোলাস ওয়ারেন বার্ড মামলাটি করেছেন। — ফাইল চিত্র।

অভিনেতা দেবের ফ্ল্যাটে গানবাজনা হয়! শান্তিভঙ্গের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রবীণ দম্পতি। তাঁদের অভিযোগ, বসবাসের জায়গায় ব্যবসা করছেন অভিনেতা। সেখানে তাঁর একটি মিউজিক স্টুডিয়ো রয়েছে। যদিও এই অভিযোগে সরাসরি হস্তক্ষেপ করল না হাই কোর্ট। দেবের প্রতিবেশীকে কলকাতা পুরসভায় যেতে বলল উচ্চ আদালত। পুরসভা সূত্রে খবর, এ বিষয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত জানাবেন পুরসভার লাইসেন্স বিভাগের প্রধান ম্যানেজার।

Advertisement

দক্ষিণ কলকাতার একটি আবাসনের বাসিন্দা দেব ওরফে সাংসদ দীপক অধিকারীর প্রতিবেশী নিকোলাস ওয়ারেন বার্ড মামলাটি করেছেন। তাঁর অভিযোগ, মিউজিক স্টুডিয়ো থাকার কারণে দেবের ফ্ল্যাট থেকে গান, বাজনার শব্দ বাইরে আসে। এর ফলে তাঁর অসুস্থ স্ত্রীর অসুবিধা হয়। ওই আবাসন কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানিয়ে কাজ না হওয়ায় হাই কোর্টে যান নিকোলাস। গত বছর এ বিষয়ে পুরসভার অবস্থান জানতে চায় আদালত।

পুরসভার আইনজীবী শুভ্রাংশু পাণ্ডা আদালতে জানান, নিজের বাসস্থানে কেউ ছোটখাটো ব্যবসা করলে অনুমতি দেওয়া হয়। তাই দেবকেও লাইসেন্স দেওয়া হয়। তা ছাড়া এ নিয়ে পুরসভার দায়িত্ব সীমিত। দেবের তরফে আদালতে জানানো হয়, কারও অসুবিধা করে কোনও ব্যবসায়িক কাজকর্ম চলছে না।

Advertisement

অনেক আবাসনের নিজস্ব নিয়ম রয়েছে। ওই আবাসনের ক্ষেত্রেও তেমন নিয়ম রয়েছে। মামলকারীর অভিযোগ, দেবকে এমন কোনও অনুমতি দেননি আবাসন কর্তৃপক্ষ। যদিও এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনও হস্তক্ষেপ করেনি হাই কোর্ট। আবাসনের এই সমস্যা নিয়ে প্রথমে সিঙ্গল বেঞ্চ মামলাকারীকে নগর দেওয়ানি আদালতে যেতে বলে। পরে ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি কলকাতা পুরসভার লাইসেন্স বিভাগে স্থানান্তরিত করেন। পুরসভা সূত্রে খবর, সেখানে এই বিষয়ে আলোচনা শেষ হয়েছে। শীঘ্রই সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

মামলাকারীর আইনজীবী পার্থসারথি দেববর্মন বলেন, ‘‘বসবাসের জায়গায় কোনও ভাবেই ব্যবসা করা যায় না। পুরসভার সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি। তার পর আবার বিষয়টি নিয়ে হাই কোর্টে মামলা করব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement