প্রতীকী ছবি।
মায়ের সঙ্গে বসে মঙ্গলবার দুপুরে খাওয়ার পর থেকেই খোঁজ মিলছিল না বছর ছয়েকের ছেলের। পাড়ার অলিগলি তন্নতন্ন করে খোঁজার পরেও ছেলের সন্ধান না পেয়ে স্বামীকে ফোন করেন তার মা। আরও ঘণ্টা তিনেক খোঁজাখুঁজির পরেও হদিস না মেলায় সন্ধ্যায় মানিকতলা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। শেষে মঙ্গলবার মধ্যরাতে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হল ওই শিশুর দেহ।
ঘটনাটি ঘটেছে মানিকতলা থানার মুরারিপুকুরের কৃষ্ণপল্লি এলাকায়। মৃত শিশুটির নাম সৌম্যদীপ পাহাড়ি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই এলাকারই একটি প্রাথমিক স্কুলের প্রথম শ্রেণিতে পড়ত সৌম্যদীপ। তার বাবা এলাকার একটি কারখানায় কাজ করেন। এক দাদা কাজের সূত্রে বাইরে থাকেন। ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার দুপুরে। স্নান করে মায়ের সঙ্গে খেতে বসেছিল সে। মায়ের খাওয়া শেষ হওয়ার আগেই উঠে গিয়েছিল ছেলে। খেয়ে উঠে তাকে আর দেখতে না পেয়ে খোঁজ শুরু করেন মা। কিছু ক্ষণ পরে খবর দেওয়া হয় বাবাকেও। মৃতের বাবা সহদেব পাহাড়ির কথায়, ‘‘ওর মা ফোন করে ছেলে আমার কাছে এসেছে কি না, জানতে চায়। আমি না বলায় তাড়াতাড়ি বাড়ি আসতে বলে। বাড়ি ফিরে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি।’’ সন্ধ্যার পরে মানিকতলা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। থানার তরফেও শুরু হয় সন্ধান। বিকেলের দিকে সৌম্যদীপকে খেলতে দেখেছিলেন বলে জানান স্থানীয় এক বাসিন্দা। এলাকার একটি পুকুরপাড়ে সৌম্যদীপের জুতো পড়ে থাকতে দেখেন তার বাবা। পুলিশকে জানানো হলে ঘটনাস্থলে আসে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে চলে তল্লাশি। শেষে রাত ১টা নাগাদ উদ্ধার হয় সৌম্যদীপের দেহ।
কিন্তু এক কিলোমিটার দূরের ওই পুকুরে কী করে শিশুটি একা গেল, সেই প্রশ্ন তুলেছে তার পরিবার। সহদেব বলেন, ‘‘ও আগে কোনও দিন ওখানে যায়নি। একা একা কী ভাবে গেল, সেটাই বুঝতে পারছি না।’’ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। বুধবার আর জি করে ময়না-তদন্তের পরে দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে।