Teacher Recruitment Scam Case

হৈমন্তীর বেহালার ফ্ল্যাটের বাইরে একের পর এক নম্বর লেখা কাগজ! চাকরিপ্রার্থীদের রোল নম্বর?

৯ ডিজিটের রোল নম্বর ব্যবহার হয় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে। হৈমন্তীর ফ্ল্যাটের সিঁড়িতে পাওয়া কাগজে ওই ৯টি নম্বরই লেখা রয়েছে। তাই প্রশ্ন উঠছে, ওগুলি চাকরিপ্রার্থীদের তথ্য কি না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:১৮
Share:

গোপাল দলপতির ‘প্রাক্তন’ স্ত্রী হৈমন্তীকে নিয়ে নতুন রহস্য তৈরি হয়েছে। কুন্তল প্রথম এই নাম প্রকাশ্যে আনেন। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

এ বার নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত গোপাল দলপতির ‘প্রাক্তন’ স্ত্রী তথা অভিনেত্রী-মডেল হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের বেহালার ফ্ল্যাটের সিঁড়িতে মিলল বেশ কিছু সিরিয়াল নম্বর লেখা কাগজ। যে সংখ্যাগুলি লেখা রয়েছে, সেগুলি প্রত্যেকটাই ৯ সংখ্যার। যা থেকে ওই কাগজগুলি শিক্ষক পদে চাকরিপ্রার্থীদের কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ-ও মনে করা হচ্ছে যে, নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে কোনও ভাবে ওই ফ্ল্যাটেরও যোগসূত্র আছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, ৯ ডিজিটের রোল নম্বর ব্যবহার হয় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে। হৈমন্তীর ফ্ল্যাটের নীচ থেকে পাওয়া এক গোছা কাগজে ওই ৯টি নম্বর লেখা রয়েছে। আগেই হৈমন্তীর ফ্ল্যাটের অদূরে নোংরার স্তূপ থেকে কাগজ, পুরনো ফাইল পাওয়া গিয়েছে। সেখানে ২০১৩ সালের একটি ‘শেয়ার অ্যাপ্লিকেশন’ ফর্মও পাওয়া গিয়েছে। সেটি আবার ‘বোর্ড অব ডিরেক্টর’কে লেখা। হৈমন্তীর বাবা সাধনগোপাল গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম লেখা একটি কাগজ থেকে অনুমান করা হচ্ছে সেটি ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও কাগজ। আবার তার মধ্যে একটি সিমেরার চিত্রনাট্য লেখা কাগজও মিলেছে।

নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া তাপস মণ্ডল এবং কুন্তল ঘোষের অভিযোগের ভিত্তিতে যে গোপাল দলপতিকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি), তাঁকে এবং তাঁর ‘প্রাক্তন’ স্ত্রী হৈমন্তীকে নিয়ে নতুন রহস্য তৈরি হয়েছে। কুন্তলই প্রথম এই নাম প্রকাশ্যে আনেন।

Advertisement

আদতে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের বাসিন্দা গোপালের দু’টি বিয়ে বলে জানা যাচ্ছে। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী এই হৈমন্তী। এমনটা জানিয়েছেন হৈমন্তীর মা-ই। হৈমন্তীর আদি বাড়ি হাওড়ার উত্তর বাকসাড়ায়। গোপালের পারিবারিক ব্যবসা ছিল। পরবর্তী কালে তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ছাত্র পড়াতে শুরু করেন। ২০১৬ সালের পরে বেহালায় বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন গোপাল। সেখানে টালিগঞ্জের এক অভিনেত্রীও তাঁর সঙ্গে থাকতেন বলে জানা যাচ্ছে। তদন্তকারী সংস্থা ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে আরমানের অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

নথিতে দেখা গিয়েছে, ওই অ্যাকাউন্টে ‘নমিনি’ হিসাবে নাম রয়েছে হৈমন্তীর। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ থেকে মুম্বইয়ের একটি সংস্থার সঙ্গে যোগ রয়েছে আরমান এবং হৈমন্তীর। এই আরমান আসলে গোপালের আর এক নাম না কি, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনাচক্রে, হৈমন্তী এখন কোথায় আছেন, তা অজানা। এর আগে একাধিক বার তদন্তকারীদের ডাকে হাজির হয়েছেন গোপাল। আবার কখনও প্রয়োজন মনে করলে তাঁকে তলব করা হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement