অভিযুক্তের দোকান জ্বালিয়ে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। শুক্রবার, বারাসতে। নিজস্ব চিত্র
দোকানে জিনিস কিনতে যাওয়া ১২ বছরের এক কিশোরীর উপরে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল এক দোকানদারের বিরুদ্ধে। শুক্রবার বারাসত থানার সিঁথিবড়া এলাকার ঘটনা। ঘটনার পরেই সপরিবারে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে ৫৬ বছরের নজরুল ইসলাম নামে ওই অভিযুক্ত। নিগ্রহের কথা জানাজানি হওয়ার পরে এ দিন এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে ওই কিশোরীর পরিবার এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে স্থানীয় একটি মসজিদে নমাজ পড়তে গিয়েছিল। সেই সময়েই জিনিস কেনার জন্য নজরুলের মুদির দোকানে গিয়েছিল নির্যাতিতা ওই কিশোরী। অভিযোগ, এলাকা সুনসান থাকার সুযোগ নিয়ে সেই সময়ে জোর করে মেয়েটিকে দোকানে ঢুকিয়ে শাটার নামিয়ে দেয় অভিযুক্ত। এর পরে মুখ চেপে ঘণ্টাখানেক ধরে ওই মেয়েটির উপরে নির্যাতন চালানো হয়। এই কথা কাউকে জানালে খুন করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে কিশোরীকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, এর পরে বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। কিন্তু প্রথমে ভয়ে সে কাউকে কিছু বলতে রাজি হয়নি। মেয়ের শারীরিক অবস্থা দেখে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান পরিবারের লোকজন। তখনই যৌন নিগ্রহের কথা সামনে আসে। এর পরেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। বিক্ষুব্ধ জনতা নজরুলের দোকান এবং বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয় ওই দোকানে। ততক্ষণে সপরিবারে এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত নজরুল।
এর পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় বারাসত থানার পুলিশ। কিশোরীর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হবে। এ দিন ওই কিশোরীর বাবা বলেন, ‘‘পাড়ার মধ্যে ঠাকুরদার বয়সি এক প্রতিবেশী মেয়ের এমন ক্ষতি করতে পারে, তা কল্পনাও করতে পারিনি। আমরা চাই, ওর কঠিন শাস্তি হোক।’’ পুলিশ জানিয়েছে, নজরুলের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।