প্রতীকী ছবি।
গভীর রাত। থানায় বসে আছেন এক অফিসার। হঠাৎ বেজে উঠল ফোন। সেটি ধরলেন এক পুলিশকর্মী। ফোনে কথা শেষ হওয়ার পরে তিনি অফিসারকে জানালেন, এক কিশোরী গঙ্গায় ঝাঁপ দিতে গিয়েছিল। এলাকাবাসীরা তাকে উদ্ধার করেছেন। খবরটি শুনে আর দেরি করেননি ওই পুলিশকর্তা। মহিলা পুলিশকর্মীকে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন তিনি। কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে গার্ডেনরিচ থানার বিচালি ঘাটে। বছর আঠেরোর ওই কিশোরীর বাড়ি সল্টলেকে। তার বাবা গার্ডেনরিচে একটি কারখানায় কাজ করেন। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা জেনেছেন, ওই দম্পতি বছর সতেরো আগে মেয়েটিকে দত্তক নিয়েছিলেন। নিজের সন্তানদের মতোই তাকে মানুষ করেন। সম্প্রতি ওই কিশোরী জানতে পারে, তাকে দত্তক নেওয়া হয়েছিল। এর পরেই তার সঙ্গে পরিবারের বিরোধ শুরু হয় বলে মেয়েটির বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন।
সূত্রের খবর, রবিবার দুপুরে বাড়ির লোকজনদের সঙ্গে গোলমাল করে বেরিয়ে আসে ওই কিশোরী। সারা বিকেল ও সন্ধ্যা বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে রাত দেড়টা নাগাদ গার্ডেনরিচের বিচালি ঘাটে গঙ্গায় ঝাঁপ দিতে যায় সে। বাবার কাজের সূত্রে ওই এলাকা চেনা ছিল তার। অত রাতে একটি মেয়ের এমন আচরণ দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। তাঁরাই তাকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন।
এক পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, উদ্ধার করার পরেও ওই কিশোরী নিজের পরিচয় এবং ঠিকানা দিতে চাইছিল না। পরে বাবার নাম এবং ঠিকানা বললেও বাড়ি ফিরে যেতে রাজি হচ্ছিল না সে। শেষমেশ একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উপস্থিতিতে তাকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।