যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে পড়ুয়াদের অবস্থান-বিক্ষোভ। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র
চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা অনলাইনে দেওয়ার দাবিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির ছাত্র সংসদ (ফেটসু) সোমবার দুপুর থেকে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে ঘেরাও করেছিল। মঙ্গলবারও একই দাবিতে অবস্থান চালিয়ে গিয়েছে তারা। অন্য দিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি (জুটা) জানিয়ে দিয়েছে, যদি অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত বদল করা হয়, তা হলে শিক্ষকেরা পরীক্ষা প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকবেন না।
সোমবার দুপুর থেকে উপাচার্যকে অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে ঘেরাও করেন ফেটসু-র সদস্যেরা। রাত ১২টা নাগাদ উপাচার্য সুরঞ্জন দাস অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাক্তার আসেন। তিনি সুরঞ্জনবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এর পরে ঘেরাওকারী পড়ুয়ারা সুরঞ্জনবাবুকে ছেড়ে দিলেও অবস্থান চালিয়ে যান। ক্যাম্পাসেই রয়ে যান সহ-উপাচার্য স্যমন্তক দাস, রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু-সহ বেশ কয়েক জন শিক্ষক।
সোমবারই ঘেরাও থাকা অবস্থায় উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোনও পরিস্থিতিতেই পরীক্ষা বোর্ডের নেওয়া অফলাইন পরীক্ষার সিদ্ধান্ত বদলানো সম্ভব নয়। এ দিন ফেটসু সহ-উপাচার্যের কাছে দাবি জানায়, অবিলম্বে পরীক্ষা বোর্ডের বৈঠক ডাকতে হবে। সহ-উপাচার্য জানিয়েছেন, ওই বৈঠক ডাকার এক্তিয়ার তাঁর নেই।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জুটা। এ দিন বিশেষ বৈঠকের ডাক দেন জুটা-র সদস্যেরা। পরে জুটা-র সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘এগজ়ামিনেশন বোর্ড এবং বোর্ড অব স্টাডিজ়গুলির সিদ্ধান্ত মেনে যদি অফলাইন পরীক্ষা না হয়ে অনলাইনে পরীক্ষা হয়, তা হলে শিক্ষকেরা ওই পরীক্ষা প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকবেন।’’
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির শিক্ষক সংগঠন আবুটা-র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকাল চ্যাপ্টারের পক্ষে গৌতম মাইতি এ দিন বলেন, ‘‘এগজ়ামিনেশন বোর্ড যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা শক্ত হাতে কার্যকর করতে হবে প্রশাসনকে। ফেটসু-র এই ঘেরাওকে আমরা সম্পূর্ণ অসঙ্গত এবং অবাঞ্ছিত বলে মনে করছি।’’
ফেটসু-র চেয়ারপার্সন অরিত্র মজুমদারকে এ দিনও ফোন এবং মেসেজ করে কথা বলা যায়নি। এ দিন রেজিস্ট্রার পরে বাড়ি চলে গেলেও রাত পর্যন্ত খবর, সহ-উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়েই রয়েছেন। ছাত্রদের অবস্থানও চলছে।