সিকিমে ঘুরতে যাওয়া কলকাতার এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ট্যাক্সিচালকের বিরুদ্ধে। গত রবিবার সন্ধ্যায় ওই চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, উনিশ বছরের ওই তরুণীর বাড়ি লেকটাউন এলাকায়। ১৩ মে দুই বান্ধবীর সঙ্গে সিকিমে ঘুরতে যান তিনি। সঙ্গে এক জনের অভিভাবকও ছিলেন। তাঁরা গ্যাংটকের একটি হোটেলে উঠেছিলেন।
গ্যাংটকের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখতে ওই দিন সন্ধ্যায় তিন বান্ধবী একটি ট্যাক্সি ভাড়া নিয়েছিলেন। ওই গাড়িতে ঘুরতে গিয়েই বিপত্তি ঘটে। পূর্ব সিকিম জেলার পুলিশ সুপার ডি পি গিরি বলেন, ‘‘রবিবার বিকেলে ওই তরুণী গ্যাংটক থানায় তাঁদের ভাড়া করা ট্যাক্সির চালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিয়োগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ অভিযুক্ত চালকের নাম প্রেম রাই। বাড়ি সিকিমের ডিকচিমে।
পুলিশ জানায়, অভিযোগকারী তরুণী চালকের পাশে সামনের আসনে বসেছিলেন। চালক তাঁকে ফলের রস খেতে দেয়। অভিযোগ, তাতে নেশার দ্রব্য মেশানো ছিল। এর পরে বেড়াতে যাওয়ার জায়গা নিয়ে চালক ও তরুণীদের মধ্যে বচসা বাধে। পিছনের সিটে বসা দুই তরুণীকে চালক জোর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। সামনের আসনে বসে থাকা তরুণীকে নিয়ে সে গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে যায়। ওই তরুণী পরে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন।
চালক তাঁদের বান্ধবীকে নিয়ে চলে যাওয়ার পরে ওই দুই তরুণী প্রায় দুই কিলোমিটার হেঁটে একটি গ্রামে পৌঁছন। সেই গ্রামের বাসিন্দাদের বিষয়টি জানালে তাঁরা পুলিশে খবর দেন। মঙ্গন এলাকায় ওই চালককে বেহুঁশ অবস্থায় খুঁজে পায় পুলিশ। তাকে গ্রেফতার করা হয়। তরুণীকেও ওই এলাকা থেকেই পাওয়া যায়। আজ, মঙ্গলবার ধৃতকে মঙ্গন আদালতে তোলা হবে।
পর্যটক তরুণীদের সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইস্টার্ন হিমালয় ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা। তাঁদের তরফে বিষয়টি নিয়ে সিকিম সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের কথাও জানানো হয়েছে। সংস্থার কার্যকরী সভাপতি সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি।’’