ছবি: সংগৃহীত
আমপানের পরে সবুজ বাঁচাতে রবীন্দ্র সরোবরে গাছ দত্তক নেওয়ার প্রকল্প চালু করতে উদ্যোগী হল কেএমডিএ। ‘তরুমিত্র’ নামে ওই প্রকল্প বছর দুয়েক আগেই হাতে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তখন সেই কর্মসূচি চালু করা যায়নি। তাই এ বার নতুন করে পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘গাছ বাঁচানো ছাড়াও গাছ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতেই ‘তরুমিত্র’ প্রকল্পের পরিকল্পনা ছিল। কিছু সমস্যা থাকায় প্রকল্পটি পিছিয়ে যায়। আমপানের পরে বর্তমান পরিস্থিতিতে ওই প্রকল্প নতুন করে বাস্তবায়িত করতে কেএমডিএ-কে বলা হয়েছে।’’
এই প্রকল্পের পুরনো শর্তানুযায়ী, সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে যে ব্যক্তি গাছ দত্তক নেবেন তিনি গাছের উপরে নজরদারি রাখবেন। দত্তক যিনি নেবেন, তিনি কাঠের ফলক তৈরি করে গাছের নাম-সহ নিজের নাম লিখতে পারবেন। ওই গাছ বরাবর একটি সীমানাও চিহ্নিত করতে পারেন তিনি। গাছের যত্ন নেওয়া ছাড়াও গাছের বড় ধরনের কোনও সমস্যা হলে, তিনি কেএমডিএ কর্তৃপক্ষকে তা জানাবেন। একটি নির্দিষ্ট সময় তাঁকে দেওয়া হবে। তার মধ্যে ঝড়ে বা অন্য কোনও কারণে যদি গাছ পড়ে যায়, তা হলে আরও একটি গাছ ওই ব্যক্তি দত্তক নিতে পারেন।
আমপানের পরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অজস্র গাছ পড়েছে। শহরের মূল রাস্তা এবং পার্ক ছাড়াও রবীন্দ্র সরোবর এবং সুভাষ সরোবরের মতো জায়গায় গাছ রোপণ করার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু গাছ লাগানোই শুধু নয়, গাছের যত্ন নিয়ে বড় করে সেগুলি রক্ষা করার পরিকল্পনা যাতে করা যায়, সেই কারণে বাসিন্দাদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন বলে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ মনে করেন। আপাতত রবীন্দ্র সরোবরেই ওই প্রকল্প নেওয়া হবে। পরবর্তী কালে অন্যত্র ওই প্রকল্প কার্যকর করা যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান।
কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, রবীন্দ্র সরোবরে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১৫,০০০ গাছ রয়েছে। ফুল ও ফলের বহু ধরনের গাছ রয়েছে সেখানে। কয়েকটি শিরিষ গাছ নষ্ট হলেও বেশ কিছু গাছ বাঁচানো হয়েছে। সব সময়ে নজরদারি থাকলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এমন গাছও বাঁচানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। আমপানে রবীন্দ্র সরোবরে প্রায় ১৬০টি বড় গাছ পড়েছে। প্রচুর ছোট গাছ ও ডালপালাও নষ্ট হয়ে গিয়েছে।