এই মাকড়শাই গৃহবধূর আঙুলে কামড় বসায়। নিজস্ব চিত্র।
এ বার ট্যারেন্টুলা আতঙ্ক কলকাতা শহরের বুকেই। রোমশ মাকড়শার কামড়ে অসুস্থ হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ৩২ বছরের এক মহিলা। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল হলেও মাকড়শা নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে দক্ষিণ শহরতলিতে।
বৃহস্পতিবার সকালে গড়িয়াতে বাড়ির ঠাকুরঘরে পুজো করছিলেন পুতুল পৈলান নামে ওই মহিলা। ঝুড়ি থেকে জবা ফুল তুলতেই তার ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে একটা কালো রোমশ মাকড়শা। কিছু বোঝার আগেই সেই আটপেয়েটি পুতুলের ডান হাতের মাঝের আঙুলে কামড় বসায়। যন্ত্রণায় চিৎকার করে ওঠেন তিনি। তাঁর স্বামী ভাস্কর পৈলান বলেন, “প্রথমে হাত ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করেছিল পুতুল। তাতেও মাকড়শাটা কামড়ে ধরে রেখেছিল। শেষ পর্যন্ত টেনে ছাড়াতে হয়।”
পুতুলের পরিবারের সদস্যেরা জানিয়েছেন, প্রচণ্ড জ্বালা আর অসহ্য ব্যথা শুরু হয়। পরিবারের লোকজন দেরি না করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান পুতুলকে। সেখানে প্রথমেই চিকিৎসক শ্যামল বেরা দু’টি ইঞ্জেকশন দেন।
হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে পুতুলের।
তিনি বলেন, “পুতুলদেবীকে যখন নিয়ে আসা হয় তখন তিনি যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন। পরিবারের লোকজন জানিয়েছে, ওঁকে কোনও পোকা কামড়েছে। তত ক্ষণে রোগীর রক্তচাপ কমতে শুরু করে দিয়েছে। অ্যানাফাইলেটিক অর্থাৎ অ্যালার্জির সমস্ত লক্ষণ বাড়ছিল।”
আরও পড়ুন:
মরণকামড় কি ট্যারান্টুলার! এগরার যুবকের মৃত্যু নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
ট্রেনে যাত্রীর মৃত্যুতে কালো মাকড়শার আতঙ্ক
কিন্তু তার পরেও ব্যথা বা জ্বালা না কমায় তাঁকে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, “পরিবারের লোকজনকে ওই মাকড়শাটা ধরে নিয়ে আসতে বলি। তারা মাকড়শাটি মেরে নিয়ে আসেন। দেখে বোঝা যাচ্ছে, ট্যারেন্টুলা গোত্রেরই একটি বিষাক্ত মাকড়শা সেটি।” চিকিৎসকের দাবি, এই মুহূর্তে রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল। কিন্তু চিকিৎসা শুরু হতে দেরি হলে, প্রাণঘাতী হতে পারত এই কামড়।