Tantuja

চার মাসে তৈরি ২৫ লক্ষ পিপিই, পুরস্কৃত তন্তুজ

সংস্থার এমডি রবীন্দ্রনাথ রায় জানিয়েছেন, এপ্রিল থেকে জুলাই—এই চার মাসে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক এবং সংস্থার কর্মীরা মিলে এই অসাধ্য সাধন করেছেন।

Advertisement

সুনন্দ ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:১০
Share:

—প্রতীকী ছবি

করোনা সংক্রমণের যে সময়ে মানুষ ছিলেন পুরোপুরি ঘরবন্দি, জরুরি কারণ ছাড়া পারতপক্ষে বাইরে বেরোননি, তখন চার মাসে ২৫ লক্ষ পিপিই কিট বানিয়ে পুরস্কার জিতে নিল রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সংস্থা ‘তন্তুজ’। করোনা মোকাবিলায় লড়াই চালিয়ে সমাজে অবদানের জন্য দিল্লির একটি সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে তন্তুজের হাতেও এই পুরস্কার তুলে দিয়েছে।

Advertisement

সংস্থার এমডি রবীন্দ্রনাথ রায় জানিয়েছেন, এপ্রিল থেকে জুলাই—এই চার মাসে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক এবং সংস্থার কর্মীরা মিলে এই অসাধ্য সাধন করেছেন। পিপিই কিটের পাশাপাশি কয়েক লক্ষ মাস্ক বানিয়ে তাঁরা সরবরাহ করেছেন রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে। রবীন্দ্রনাথবাবুর কথায়, “পেট্রলিয়ামজাত কাপড়ের এই ধরনের জিনিস তৈরির অভিজ্ঞতা আগে ছিল না। করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরকে পিপিই ও মাস্ক তৈরির দায়িত্ব দেয় রাজ্য সরকার। এমন একটা সময়ে কাজ শুরু হয় যখন শ্রমিক পাওয়া মুশকিল ছিল। পরিবহণও ছিল বন্ধ। সেই সবের বন্দোবস্ত করে শুরু হয় কাজ।”

পিপিই ও মাস্ক তৈরি করে, ইছাপুর গান অ্যান্ড শেল কারখানা থেকে তার গুণমান পরীক্ষা করে সেগুলি বাজারে ছাড়া হয়েছে। প্রথমে পুরো পিপিই কিট তৈরি হচ্ছিল। যার মধ্যে পরনের সুট ছাড়াও ছিল মাস্ক, গ্লাভস, জুতো ও মাথার ঢাকনা। পরের দিকে শুধু সুট বানানোর কাজ শুরু হয়। সরকারি যে প্রায় ৭৫টি বস্ত্র তৈরির ইউনিট রয়েছে, সেগুলিকে ছাড়াও বিভিন্ন প্রান্তের স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে এই কাজে যুক্ত করা হয়েছিল।

Advertisement

তন্তুজ বোর্ডের সদস্য এবং বিধাননগরের কাউন্সিলর তুলসী সিংহরায় বলেন, “যে সময়ে সকলে ঘরবন্দি ছিলেন, তখন তন্তুজের কর্মী-অফিসারেরা এই কারণে প্রতিদিন দফতরে এসেছেন। সংক্রমণের ওই ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও যে ভাবে তাঁরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন, তা প্রশংসনীয়।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement