শুভেন্দু অধিকারী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিম। ফাইল ছবি।
বীরভূমের শান্তিনিকেতনে পাশের বাড়ির ছাদ থেকে পাঁচ বছর বয়সি শিশুর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল রাজ্য বিধানসভা। মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতির দাবিতে ওয়াকআউট বিজেপির। বাইরে বেরিয়ে মমতার পদত্যাগ দাবি করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। চাইলেন ঘটনার সিবিআই তদন্তও।
মঙ্গলবার শান্তিনিকেতনে একটি পাঁচ বছরের শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, রবিবার বিস্কুট কিনতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি সে। প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদে বস্তা এবং কাঠ চাপা দেওয়া মৃতদেহ উদ্ধার হতেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে শান্তিনিকেতনের মোলডাঙা পাড়া। অভিযুক্ত প্রতিবেশীর বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্ত রুবি বিবিকে। মঙ্গলবারই এই ঘটনায় লেগেছিল রাজনীতির রং। বুধবার নিহত শিশুর বাড়িতে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল যাওয়ার কথা। তার আগেই ঘটনার দায় নিয়ে রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুললেন বিরোধী দলনেতা।
বুধবার বিধানসভার অধিবেশনের দৃষ্টি আকর্ষণ পর্বে শুভেন্দু স্পিকারকে জানান, এই ঘটনা অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং লজ্জার। তিনি বলেন, ‘‘বগটুইয়ে গণহত্যার ঘটনা ঘটল। তার পর সেই একই জেলায় এই ঘটনা। এ ব্যাপারে পুলিশমন্ত্রীর বিবৃতি দেওয়া উচিত।’’ পুলিশমন্ত্রী বিবৃতি না দেওয়ায় অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করে বিজেপি। বাইরে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘যে জেলাতে বগটুইয়ের মতো ঘটনা ঘটেছে সেখানেই মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটে গেল। পুলিশের ব্যর্থতা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। আমরা পুলিশমন্ত্রীর বিবৃতির দাবি করছিলাম। রাজ্যের মানুষ পুলিশের উপর বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। পুলিশ আগে সক্রিয় হলে বাচ্চাটিকে বাঁচানো যেত। পুলিশমন্ত্রী মমতার পদত্যাগ দাবি করছি। ঘটনার তদন্ত করাতে হবে সিবিআইকে দিয়ে।’’
শুভেন্দুকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘‘প্রশাসন তো প্রশাসনের মতো ব্যবস্থা নিচ্ছে। বিরোধী দল কেন এই বিষয়ে সিবিআইকে নিয়ে আসছে? পারিবারিক সমস্যায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে। এ নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।’’