শাহজাহান শেখ। —ফাইল চিত্র।
গ্রেফতারির অব্যবহিত পরেই তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন সন্দেশখালির নেতা শাহজাহান শেখ। গ্রেফতারির এক দিনের মধ্যে এ বার উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল। শুক্রবার এই কথা জানিয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী। জেলা পরিষদে তাঁর বসার ঘর থেকে নামের ফলক সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এখন শাহজাহানের জায়গায় সংশ্লিষ্ট পদের দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি বলেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ সূত্রে খবর। উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্দেশখালি-২ ব্লক জেলা পরিষদ থেকে জয়ী হয়েছিলেন শাহজাহান।
গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার পর ৫৫ দিন ‘নিখোঁজ’ ছিলেন শাহজাহান। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার মিনাখাঁর বামনপুকুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে হাজির করানো হয় বসিরহাট মহকুমা আদালতে। বিচারক ওই নেতাকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। তার পর বসিরহাট থেকে শাহজাহানকে কলকাতার ভবানী ভবনে নিয়ে আসা হয়। মামলার তদন্তভার নিয়েছে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি। আপাতত আগামী ১০ দিন ভবানী ভবনই শাহজাহানের ঠিকানা।
আদালতে জমা দেওয়া নথিতে শাহজাহানকে ‘অত্যন্ত প্রভাবশালী’ বলে উল্লেখ করেছে পুলিশ। তাঁকে জামিন দিলে সন্দেশখালি এবং ন্যাজাট থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলেও মনে করছে পুলিশ। নথিতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় শাহজাহানের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। পুলিশের নথিতে জানানো হয়, গত ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনাতেই ২৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয় শাহজাহানকে।