বন্ধকে ব্যর্থ করতে সোমবার রাজ্য সরকার যে নির্দেশিকা জারি করেছিল, মঙ্গলবার সেই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তিনি এ দিন বলেন, “এটা মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। এই নির্দেশিকার কোনও অর্থ নেই। একে ছুড়ে ফেলে দিন।”
সোমবারই রাজ্য সরকার নির্দেশিকা জারি করেছিল যে সমস্ত সরকারি কর্মচারীরা ২ সেপ্টেম্বরে অফিসে গরহাজির থাকবেন, তাঁদের মাইনে তো কাটা যাবেই, সেই সঙ্গে সার্ভিস ব্রেকও হবে। এ দিন সূর্যবাবু সরকারি কর্মচারিদের উদ্দেশে বলেন, “যাঁরা টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, কৃষকের আত্মহত্যা, মিছিলের উপর লাঠিচার্জের মতো ঘটনাকে সমর্থন করেন তাঁরা বন্ধের বিরোধিতা করুন। আর যদি এই সমস্ত ঘটনার প্রতিবাদ করেন তা হলে আগামিকাল বন্ধ সফল করুন।”
সাধারণ ধর্মঘট বুধবার। ধর্মঘটের সমর্থনে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ শহরের তিনটি জায়গা থেকে তিনটি মিছিল বেরোয়।
এ দিন বিকেলে শ্যামবাজার থেকে একটি মিছিল বেরোয়। এই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। শ্যামবাজার থেকে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোড হয়ে মিছিলটি রাজাবাজারে এসে শেষ হয়।
অন্য একটি মিছিল হয় বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর নেতৃত্বে। তৃতীয় মিছিলটি অন্য দু’টির তুলনায় ছোট। সেই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন সিটু-র রাজ্য সভাপতি শ্যামল চক্রবর্তী।