থমকে জোকা-বিবাদি বাগ মেট্রো রেল প্রকল্পের কাজ। —ফাইল চিত্র।
অবশেষে জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রো প্রকল্পের জট কাটল। কাজ শুরুর ছাড়পত্র দিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে শীর্ষ আদালত এ-ও জানায়, সেন্ট্রাল এমপাওয়ার্ড কমিটি (সিইসি) অনুমতি ছাড়া নতুন করে কোনও গাছ কাটা বা অন্যত্র স্থানান্তর করা যাবে না। বুধবার বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি পিকে মিশ্র এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ এমনই নির্দেশ দিয়েছে।
জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রো প্রকল্পের জন্য ময়দান এলাকায় কয়েকশো গাছ কাটা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে একটি সংস্থা। কিন্তু হাই কোর্ট এ ব্যাপারে মেট্রোর কাজে হস্তক্ষেপ করেনি। তার পরই মামলাকারী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। বুধবার ওই মামলার শুনানিতে সলিসিটর জেনারেল (এসজি) তুষার মেহতা জানান, মামলাকারী বলছেন, মেট্রো প্রকল্পের জন্য ৮২৭টি গাছ কাটা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে কোনও গাছ পুরোপুরি কেটে ফেলা হয়নি। অন্যত্র প্রতিস্থাপনের জন্য উপড়ে ফেলা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৯৪টি গাছ অন্য জায়গায় লাগানো হয়েছে। সলিসিটর জেনারেল সুপ্রিম কোর্টে আরও বলেন, ‘‘মেট্রো কাজের জন্য নতুন করে আর গাছ কাটার প্রয়োজন নেই। কারণ, ওই জায়গায় সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে মেট্রো যাবে।’’
তুষার নতুন করে গাছ না কাটার কথা বললেও সেই যুক্তি মানতে চাননি মামলাকারী। তাঁর আইনজীবী জয়দীপ গুপ্তের বক্তব্য, ‘‘ওই জায়গায় স্টেশন তৈরি হওয়ার কথা। ফলে নতুন করে গাছ কাটা হতে পারে। তা ছাড়া গাছ অন্যত্র লাগালে বাঁচে না। কারণ, পরিচর্যার অভাব।’’ তাঁর যুক্তি, প্রতিস্থাপনের ফলে অনেক গাছ মারা গিয়েছে, অজস্র এমন উদাহরণ রয়েছে। নাগপুর-বম্বে জাতীয় সড়ক তৈরির সময়ও গাছ প্রতিস্থাপন করা হয়। একটি গাছও বাঁচেনি। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে বিচারপতি গাভাইয়ের বেঞ্চ জানায়, আটকে থাকা মেট্রো প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারবেন কর্তৃপক্ষ। তবে নতুন করে গাছ কাটা বা প্রতিস্থাপন করতে গেলে অনুমতি লাগবে।