প্রতীকী ছবি।
প্রেসিডেন্সি জেলে বেহালার বিজেপি নেতার মৃত্যুর ঘটনায় জেল কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট চাইল সুপ্রিম কোর্ট। দু’সপ্তাহের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এই সংক্রান্ত সমস্ত নথিও পেশ করতে হবে শীর্ষ আদালতে।
বেহালার ঠাকুরপুকুরে ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগে পুলিশ ৭১ বছরের পরিমল সাহা ও অন্যদের গ্রেফতার করেছিল। বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা শহরতলির জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন পরিমলবাবু। ২০ জুলাই রাতে প্রেসিডেন্সি জেলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আজ সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে পরিমলবাবুর পরিবারের আইনজীবী পীযূষকান্তি রায় ওই ঘটনার তদন্তের দাবি তোলেন। পীযূষকান্তিবাবুর অভিযোগ, পরিমলবাবুর হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা ছিল। তা জানতেন জেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর জন্য ঠিক মতো চিকিৎসার বন্দোবস্ত হয়নি। রাজ্য সরকারের আইনজীবী লিজ ম্যাথিউ যুক্তি দেন, এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পরিমলবাবুকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল। পীযূষকান্তিবাবু পাল্টা যুক্তি দেন, এ থেকেই স্পষ্ট যে পরিমলবাবুকে জেলে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ তোলেন, ২১ জুলাই ভোরে পরিমলবাবুর মৃত্যু হলেও তাঁর পরিবারকে খবর দিতে দিতে দুপুর দেড়টা বেজে গিয়েছিল।
বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানান, পরিমলবাবুর জন্য কতটা চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল তা আদালতের জানা জরুরি। জেল কর্তৃপক্ষ কী কী ব্যবস্থা নিয়েছিলেন, তা-ও বিশদে জানা দরকার। এর পরেই তিনি প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারকে দু’সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেন। আগামী ২৪ অগস্ট ফের এই মামলার শুনানি।
পরিমলবাবুর পরিবারের অভিযোগ, বেহালায় বিজেপির সক্রিয় সদস্য ছিলেন বলেই তাঁকে খুনের মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল। জানুয়ারি মাসে ঠাকুরপুকুরে একটি ক্লাবের পিকনিকে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে এক যুবকের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনাতেই গ্রেফতার করা হয় পরিমলবাবুকে। হাইকোর্টে জামিন না-পেয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু ৩১ জুলাই জামিনের শুনানির আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।