Durgapuja 2022

রবিবারের পুজোর বাজারে ‘অসুর’  সেই বৃষ্টি

পুজোর বাকি আর ২০ দিন। এ সময়ে পুজোর বাজারের যেখানে চালিয়ে ব্যাট করে বড় রান তোলার কথা, সেখানে বৃষ্টির জন্য কার্যত খুচরো রানেই খুশি থাকতে হচ্ছে বিক্রেতাদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:১৪
Share:

ফাঁকা: বৃষ্টিতে তাল কেটেছে গড়িয়াহাটের পুজোর বাজারের। রবিবারের বিকেলেও সে ভাবে দেখা মিলল না ক্রেতাদের। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য।

দুপুর গড়াতেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। আর তাতেই কার্যত মাটি হল রবিবারের পুজোর বাজারের আমেজ! ক্রেতা সামলানোর সঙ্গে সঙ্গে দিনভর বৃষ্টির হাত থেকে পসরা বাঁচাতেই ব্যস্ত রইলেন বিক্রেতারা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিকেলের দিকে ক্রেতাদের দেখা মিললেও বিক্রিবাটার হাল তেমন মন ভরাতে পারেনি গড়িয়াহাট, নিউ মার্কেট, হাতিবাগানের ব্যবসায়ীদের। বৃষ্টিতে বাজারের অবস্থা দেখে হাতিবাগানের এক ব্যবসায়ীর মন্তব্য, ‘‘গত বছর করোনা মেরেছিল, এ বছর বৃষ্টি। যা বিক্রিবাটা হওয়ার কথা, তা আর হচ্ছে কোথায়!’’

Advertisement

পুজোর বাকি আর ২০ দিন। এ সময়ে পুজোর বাজারের যেখানে চালিয়ে ব্যাট করে বড় রান তোলার কথা, সেখানে বৃষ্টির জন্য কার্যত খুচরো রানেই খুশি থাকতে হচ্ছে বিক্রেতাদের। রবিবারের পুজোর বাজারে শপিং মলগুলিতে ব্যবসায়ীদের তা-ও কিছুটা ব্যাটে-বলে হলেও সমস্যায় পড়লেন গড়িয়াহাট, নিউ মার্কেট এবং হাতিবাগানের দোকানিরা।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে পূর্বাভাস ছিল যে, নিম্নচাপের প্রভাবে সপ্তাহের শেষের দিকে বৃষ্টি হতে পারে। সেই মতো রবিবার সকাল থেকেই মুখ ভার ছিল আকাশের। তবে সকালের দিকে তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় অনেকেই বাজারমুখী হয়েছিলেন। সকাল সকাল ফুটপাতে পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরাও। কিন্তু তাল কাটল দুপুরে, ঘণ্টা দুয়েকের ঝমঝমিয়ে বৃষ্টিতে। সন্ধ্যার দিকেও ঝিরঝিরে বৃষ্টি চলতে থাকায় সমস্যায় পড়েন হকারেরা। অনেক ক্রেতাই বাড়ি ফিরে যান। ধর্মতলায় বন্ধুর ছাতায় কোনওমতে মাথা গুঁজে মেট্রোর দিকে এগোনো যুক্তা ভট্টাচার্য বললেন, ‘‘অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম, বৃষ্টি তো কমছেই না। পুরো ভিজে গিয়েছি।’’

Advertisement

এ দিন দুপুরে নিউ মার্কেটে গিয়ে দেখা গেল, অন্য দিনের তুলনায় বাজার ফাঁকা। দোকানিরাও প্লাস্টিকে পসরা ঢেকে দাঁড়িয়ে। বৃষ্টির মধ্যে বড় দোকানগুলিতে ক্রেতা থাকলেও ফুটপাত প্রায় ক্রেতাশূন্য। তবে বৃষ্টির দাপট কমায় সন্ধ্যায় ফের বাজারমুখো হয় জনতা। নিউ মার্কেটে ছাতা নিয়ে কেনাকাটায় ব্যস্ত দেবযানী নন্দী বললেন, ‘‘বারাসত থেকে এসেছি। বৃষ্টির কথা ভাবলে আর চলবে না। যা কেনাকাটা সব আজই করতে হবে। এর পরে আর আসার সময় নেই।’’ তবে ফুটপাতের জুতোর দোকানদার আমজাদ আলি বললেন, ‘‘বৃষ্টিতে লোকজন এলেও ব্যবসা হচ্ছে কই! দুপুরের ব্যবসাটাই তো মাটি হয়ে দিল। তবে বিকেলের পরে কিছুটা হলেও বিক্রিবাটা হচ্ছে।’’

গড়িয়াহাট, হাতিবাগানেও এ দিন পুজোর চেনা ভিড় ছিল উধাও। বৃষ্টির জেরে মাথায় হাত পড়ে ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের। তবে দুই বাজারেই সন্ধ্যার পরে ভিড় কিছুটা হলেও বেড়েছে। গড়িয়াহাটের ব্যবসায়ী অমিয় সাহা বলেন, ‘‘ক্রেতারা প্রায় সকলেই বড় দোকানে ঢুকছেন, ফুটপাতে আর দাঁড়াচ্ছেন না। রবিবার হলেই এই বৃষ্টি আর পিছু ছাড়ছে না।’’ একই সুর হাতিবাগানের ব্যবসায়ী শম্ভু বিশ্বাসের গলাতেও। যদিও বিকেলের পরে কিছুটা ভিড় বাড়তে দেখা যায় শপিং মলগুলিতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement