সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত
বেসরকারি কলেজ-কর্তৃপক্ষের কাছে এক নাট্যশিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন এক ছাত্রী। ওই নাট্যশিক্ষক ও নাট্যব্যক্তিত্ব সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এ বার ফুলবাগান থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করলেন ওই ছাত্রী। বেলেঘাটা থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধেই যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছেন অন্য এক তরুণী। ধর্ষণের অভিযোগ পেয়েই সুদীপ্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আগেই ওই শিক্ষকের ছবি-সহ পুরো বিষয়টি জানিয়ে পোস্ট করেন দুই তরুণী। গ্রেফতারের আগে নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করেছিলেন ওই শিক্ষক।
পুলিশি সূত্রের খবর, ইএম বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পারফরম্যান্স স্টাডিজ়ের নাট্যশিক্ষক তথা নাট্যকারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে ফুলবাগান থানা এলাকার তরুণীটি জানান, তিনি ওই শিক্ষকের নাটক ‘ভদ্রজা’র জন্য নির্বাচিত হন। সেই নাটকেরই একটি বিশেষ শৈলী শেখানোর সময় যৌন নিগ্রহ করেন শিক্ষক, যা কার্যত ধর্ষণের নামান্তর। ‘ট্রমা’ কাটিয়ে ওঠার পরে ছাত্রীটি ১৪ অক্টোবর বাইপাসের ওই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানান। তার ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ ওই
শিক্ষককে ডেকে পাঠান এবং ইস্তফা দিতে বলেন। ওই শিক্ষককে ইস্তফা দিতে হয়।
পুরো বিষয়টি জানিয়ে শুক্রবার ফুলবাগান থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রীটি। এ দিনই অন্য এক তরুণী বেলেঘাটা থানায় অভিযোগ জানান, ওই শিক্ষক নাট্যশৈলী শেখানোর নাম করে তাঁকে ডেকে বেশ কিছু কথা বলে জোর করে পোশাক খুলতে বাধ্য করেন। নাট্যশৈলী শেখানোর নামে ওই শিক্ষক অন্য বেশ কিছু তরুণীকে যৌন হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। নির্ভয়া-কাণ্ডের পরে গঠিত বর্মা কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী আঙুল দিয়ে ‘পেনিট্রেশন’-এর ক্ষেত্রেও সেটি ধর্ষণের সমতুল্য হিসেবে ধরা হবে এবং সেই মর্মে অভিযোগ নিতে হবে। ফুলবাগানের তরুণীর ক্ষেত্রে তা-ই হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।