ফাইল চিত্র।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সাঁতরাগাছি স্টেশন সংলগ্ন ভূগর্ভস্থ পথ-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় জমা জলের সমস্যা মেটাতে চারটি দফতরকে নিয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি হয়েছিল। একাধিক বার ওই এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন কমিটির সদস্যেরা। তবুও যে ছবি বদলায়নি, তা বুঝিয়ে দিল বৃহস্পতিবারের বৃষ্টি।
বুধবার রাত ও বৃহস্পতিবার ভোরে হওয়া বৃষ্টির জেরে ওই ভূগর্ভস্থ পথ-সহ আশপাশের এলাকা হাঁটুজলের নীচে চলে গিয়েছে। সে সব পেরিয়ে উঁচু রাস্তায় পৌঁছতে হয়েছে যাত্রীদের। সেই উঁচু রাস্তাও অবশ্য চলে গিয়েছিল জলের নীচে। জল বেরোনোর পথ না থাকায় একই অবস্থা কোনা এক্সপ্রেসওয়ের শেখপাড়া সংলগ্ন এলাকার। সেখানে সেতুতে ওঠার রাস্তায় জল জমার কারণে একটি লেনে যানবাহন চলাচল বন্ধই করে দিতে হয়েছে। অন্য দিকে, এ দিন হাওড়া পুরসভার অন্তত ১০টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়। ভোটবাগান, বেলিলিয়াস লেন, কুচিল সরকার লেন, বেলগাছিয়া মোড়, পঞ্চাননতলা-সহ কয়েকটি রাস্তাও জলের নীচে চলে যায়। যদিও পুরসভার দাবি, কয়েক ঘণ্টায় নেমে গিয়েছে সেই জল।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘‘জল বেরোনোর পথটি হাওড়া পুরসভার ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। জল না বেরোনোয় রেল পাম্প চালিয়ে তা বার করেছে।’’ হাওড়ার পুর কমিশনার তথা পুর প্রশাসক বিজিন কৃষ্ণ জানান, এই সমস্যা মেটাতে রেল, রাজ্য পূর্ত দফতরের রাস্তা ও সড়ক বিভাগ এবং হাওড়া পুরসভাকে নিয়ে চার জনের কমিটি গঠন হয়েছে। তিন বার এলাকা পরিদর্শনও করা হয়েছে। জল জমা রুখতে কী পদক্ষেপ করা যায়, সেই আলোচনা চলছে।