আবেদন: দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ার অধিকার নিয়ে মানবশৃঙ্খল। শুক্রবার, বিধান সরণিতে। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী
স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল থেকে হেদুয়া পর্যন্ত রাস্তায় হাতে হাত ধরে দাঁড়িয়ে শহরের বিভিন্ন স্কুলের প্রায় ৫০০ জন পড়ুয়া। গলা থেকে ঝুলছে পোস্টার। তার কোনওটায় বিশ্ব উষ্ণায়ন বন্ধের আর্জি, কোনওটায় সুন্দরবনের জীববৈচিত্রকে বাঁচানোর বার্তা। হিমবাহের দ্রুত গলে যাওয়া নিয়েও সতর্কতামূলক পোস্টার রয়েছে কারও কারও হাতে।
পরিবেশ বাঁচাতে ২০১৮ সালের অগস্টে সুইডেনের পার্লামেন্টের সামনে ধর্নায় বসেছিল বছর ষোলোর গ্রেটা থুনবার্গ। কিশোরীর সেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে বিশ্ব জুড়ে। আগামী ২৩ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের বার্ষিক সাধারণ অধিবেশনে পরিবেশ নিয়ে আলোচনায় অংশ নিতে ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছে গ্রেটা। তার আগে, শুক্রবার থেকে বিশ্ব জুড়ে শুরু হয়েছে ‘জলবায়ু ধর্মঘট’। যা চলবে আগামী সাত দিন।
১৬৯টি দেশের প্রায় আট হাজার শহরে এই ধর্মঘট পালন করেছে পড়ুয়ারা। ভারতেও এ দিন দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, কোচি, আমদাবাদ-সহ বেশ কিছু শহরে পথে নেমেছে পড়ুয়ারা। এরই অঙ্গ হিসেবে এ দিন পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের উদ্যোগে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় আন্দোলনে শামিল হয়েছে প্রায় দু’হাজার স্কুলের পড়ুয়া। পথে নেমেছে এ শহরের ছাত্রছাত্রীরাও। ওই সংগঠনের তরফে তপন সাহা বলেন, “শহরের বিভিন্ন জায়গায় সারা দিনে পড়ুয়ারা মানবশৃঙ্খলের মাধ্যমে জলবায়ু ধর্মঘট পালন করেছে। বড়দের উদ্দেশে তাদের বার্তা, এখনই সচেতন না হলে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে পৃথিবী আর বাসযোগ্য থাকবে না।”
এ দিনের মানবশৃঙ্খলে যোগ দিয়ে স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র সৌম্যজিৎ দাস বলে, “আমরা যে ভাবে গাছ কেটে চলেছি তাতে বিশ্ব উষ্ণায়ন মারাত্মক ভাবে বাড়ছে। আর কবে সচেতন হব আমরা!” আর এক ছাত্র সৃজিত সরকার বলছে, “দূষণ রুখতে গাড়ির ব্যবহার কমাতে হবে। পানীয় জলের অপচয় বন্ধ এবং প্লাস্টিক বর্জন করতে হবে। এটুকু মানতে পারলেই কিন্তু পৃথিবী আরও সবুজ হয়ে উঠবে।”
এ দিন বৃক্ষনিধন, কার্বন
ডাই-অক্সাইডের নির্গমন বন্ধ প্রভৃতি দাবিতে পার্ক সার্কাস ময়দানেও পড়ুয়াদের নিয়ে জলবায়ু ধর্মঘট পালন করে ‘ফ্রাইডে ফর ফিউচার’ নামে একটি সংগঠন।