পরিচ্ছন্ন ছাত্রাবাসের দাবিতে অধ্যক্ষের ঘরের সামনে বুধবার থেকে দফায় দফায় অবস্থান চালাচ্ছিলেন ছাত্রদের একাংশ। বৃহস্পতিবারও সকাল থেকে অধ্যক্ষের ঘরের সামনে অবস্থানে বসেন তাঁরা। তবে দুপুরে অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। আন্দোলন থেকে সাময়িক ভাবে সরে দাঁড়ান বিক্ষোভকারী ছাত্রেরা।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রাবাসের মান খারাপ, অপরিষ্কার, এমনকি কোন ঘরে কে থাকবেন সে নিয়েও শাসক দলের নির্দেশ আসে বলে অভিযোগ তুলছেন ছাত্রদের একাংশ। তাই ছাত্রাবাস বাসযোগ্য করে তোলার দাবি নিয়ে বুধবার থেকে অধ্যক্ষের ঘরের সামনে অবস্থানে বসেন ছাত্রদের একাংশ। অভিযোগ, অধ্যক্ষ তাঁদের কথা না শুনেই চলে যান। ফলে বৃহস্পতিবার ফের অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন ছাত্রেরা।
অবস্থানরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, বারবার অধ্যক্ষের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করলেও তিনি সময় দেননি। বরং শাসক দলের ছাত্রনেতারা এসে আন্দোলন তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। এমনকি লাগাতার পুলিশকে দিয়ে পরিস্থিতি জটিল করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারী ছাত্রদের অভিযোগ, তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকারে শাসক দলের ছাত্রনেতারা হস্তক্ষেপ করেন।
যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্রদের সুবিধার দিকে নজর দিয়েই ছাত্রাবাসের ঘর নির্বাচন করা হয়। অনেক সময় র্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠে। এই ধরনের ঘটনা এড়াতেই নতুন ও পুরনো ছাত্রদের ঘর নির্দিষ্ট ব্যবধানে নির্ধারিত করা হয়েছে। তা ছাড়া শৃঙ্খলা বজায় রাখতেই অনেক সময় ছাত্রদের মেলামেশা নিয়েও নানা নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে ছাত্রাবাসের পরিবেশে কোনও রাজনৈতিক দলের নজরদারির বিষয়টি যে ভাবে আন্দোলনকারীরা তুলে ধরছেন সেটা ঠিক নয়। তবুও ছাত্রদের দাবিগুলো খতিয়ে দেখা হবে।
এ দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ উচ্ছল ভদ্র বলেন, ‘‘ছাত্রদের সঙ্গে সব সময় কথা হয়। এ বারও হয়েছে। তবে, এটা অভ্যন্তরীণ বিষয়।’’