ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি না মানা হলে বুধবার দুপুর ২টো থেকে আমরণ অনশনে বসবেন বলে জানিয়েছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র।
মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘেরাও তুলে নিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। সোমবার দুপুর থেকে কলেজের অধ্যক্ষ-সহ বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানকে আটক করে রেখেছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবার বিকেলে নার্সিং সুপার এবং ৩ জন শিক্ষিকাকে ছেড়ে দিলেও বাকিদের প্রশাসনিক ব্লকে আটকে রেখেছিলেন পড়ুয়ারা। কিন্তু মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই ব্লকের গেট খুলে দেওয়া হয়। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ-সহ বিভাগীয় প্রধানকে ছেড়ে দেন তাঁরা। কিন্তু ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে এখনও অনড় রয়েছেন আন্দোলনকারীরা। যদি তাঁদের দাবি না মানা হয়, তবে বুধবার দুপুর ২টো থেকে আমরণ অনশনে বসবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
মুক্ত হওয়ার পর বুধবার সকাল থেকে বিভাগীয় প্রধানরা রোগী দেখতে তৎপর হয়ে উঠেছেন। তবে এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারীরা অনশনে বসলে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। ইতিমধ্যেই পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে বিপাকে পড়েছিলেন রোগী এবং তাঁদের পরিজন। প্রয়োজনীয় পরিষেবা পাচ্ছেন না বলে ইট দিয়ে তালা ভেঙে প্রশাসনিক ব্লকের ভিতরেও ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন রোগীর আত্মীয়েরা। তাঁদের অভিযোগ, ওয়ার্ডে রোগীদের প্রয়োজনীয় ওষুধ পৌঁছচ্ছে না, সকাল থেকে হাসপাতালের প্যাথলজি, এক্সরে এবং বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগ বন্ধ। স্থগিত কিছু অস্ত্রোপচারও বলে দাবি রোগীর পরিজনের।
এই ঘটনায় পুলিশের তরফ থেকেও কোনও সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছিলেন তাঁরা। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে হাই কোর্টে মামলা করেছেন এক রোগীর আত্মীয়। রোগীর পরিবারকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী সুমন সেনগুপ্ত। মামলা দায়েরের অনুমতি দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। বুধবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।